মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনাকে বলা হয় দোয়া এবং শয়তানের কাছে প্রার্থনাকে বলা হয় থাকে জাদু। এ জন্য জাদু সর্বদা হারাম। মানুষ মহান আল্লাহর কাছে না চেয়ে শয়তানের কাছে চাইলে শয়তান তাতে খুশি হয়।
মহান আল্লাহ তাকে যে ক্ষমতা দিয়েছেন এর ব্যবহার করে মানুষের মনের কিছু আশা পূরণ করে। দুনিয়ার জীবনে অনেক সময় মানুষ হিংসা-ঈর্ষার কারণে অন্যের ক্ষতি চায়। এর ফলে কেউ বদনজরের শিকার হয়, আবার কেউ কেউ সীমা লঙ্ঘন করে কালো জাদুর মতো ভয়াবহ ও গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়।
জাদু করা বা জাদুর সাহায্য নেওয়া কবিরা গোনাহ। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী বস্তু থেকে বেঁচে থাক। সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রসুল! সেগুলো কী? তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে শরীক করা, জাদু, যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে কাউকে হত্যা করা, যা আল্লাহ হারাম করেছেন, সুদ খাওয়া, এতিমের মাল ভক্ষণ করা, জিহাদের ময়দান থেকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করা সাধ্বী বিশ্বাসী সরলমনা রমনাদের প্রতি অপবাদ আরোপ করা। (বুখারি ২৮৬৪)
তবে এসবের ক্ষতিকর প্রভাব বা গুনাহ থেকে বাঁচার আমলের কথাও হাদিসে এসেছে।
উসমান ইবন আফফান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় যে ব্যক্তি তিনবার নিচের দোয়াটি পাঠ করবে কোনোকিছুই তার অনিষ্ট করতে পারবে না। দোয়াটি হলো-
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
বাংলা: বিসমিল্লাহিল্লাজি লা-ইয়াদুররু মাআস্মিহি শাইয়্যিন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস-সামায়ি ওয়া-হুয়াস-সামিউল আলিম।
অর্থ: আমি আল্লাহর নাম নিচ্ছি। জমিন ও আসমানের কোনোকিছুই যাঁর নামে বরকতের ক্ষতি সাধন করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। (সুনান আত তিরমিজি: হাদিস: ৩৩৮৮)
এছাড়াও সুরা ফালাক ও নাস এক্ষেত্রে অনেক বেশি উপকারী। সকাল-সন্ধ্যা সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস প্রতিটি তিন বার করে পড়ার পরামর্শ দেন আলেমগণ। সুরা ফাতেহার অপর নাম হলো সুরা শিফা অর্থাৎ আরোগ্য লাভের সুরা। এই সুরাও পড়া যেতে পারে।
এসব দোয়া ও সুরা পড়লে আল্লাহ তাআলার কাছে জাদু থেকে বাঁচার দোয়া হবে। আমাদের উচিত জাদু থেকে বাঁচতে আল্লাহ তাআলার কাছে বেশি বেশি দোয়া করা। এমন ব্যক্তির দ্বারস্থ না হওয়া যিনি জাদু দিয়ে জাদু সারিয়ে তোলেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর