গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ড. মোঃ ফরিদুল ইসলাম বলেছেন, জনসেবার সর্ববৃহৎ পরিসর রাজনৈতিক অঙ্গন হলেও, এটি তাঁর পেশা নয়। রাজনীতি হলো সমাজ, অর্থনীতি ও উন্নয়নের চালিকাশক্তি। একটি নির্বাচিত সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে কাজ করার সুযোগ পান। প্রশাসন তাদের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করলে উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত হয়।
রবিবার সকালে বাগেরহাটের লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের সময় প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাকে নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। তবে ৫ আগস্টের পর ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাঁরা নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন। এখন তাঁদের লক্ষ্য—দেশ, জাতি ও এলাকার মানুষের জন্য কাজ করা এবং উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নেওয়া।
মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই যুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. ফরিদুল ইসলাম বলেন, এই দেশের স্বাধীনতা অর্জনে যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের প্রতি তাঁদের চিরকৃতজ্ঞতা। তিনি তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
সাবেক এই সচিব আরও বলেন, বাগেরহাটের উন্নয়নে তিনি একা নন, তাঁর সহকর্মী ও সাবেক সচিব ড. মশিউর রহমানও পাশে আছেন। তাঁরা একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। দেশের ১৮ কোটি মানুষ আজ একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে। এমন একটি নির্বাচন সম্পন্ন হলে তাঁরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাগেরহাটসহ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করতে পারবেন। তাঁদের কর্মকাণ্ড ও সততার মাধ্যমে দেশের মানুষ যেন তাঁদের মনে রাখে, সেটিই তাঁদের প্রত্যাশা।
ড. ফরিদুল ইসলাম বলেন, তাঁরা প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে চান। রাজনীতি না করেও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করার সুযোগ আছে, সেই জায়গাটিই তাঁরা কাজে লাগাতে চান।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর