যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রায় নয় শতাধিক শিক্ষার্থী থেকে প্রায় তিন লক্ষ টাকা ফি নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, যবিপ্রবিতে ২০২৪-২৫ সেশনে আসন সংখ্যা ছিল ৯৪০ টি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে যবিপ্রবির অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার বাবদ ৩০০ টাকা করে ফি পরিশোধ করতে হয়েছে। ১১আগস্ট (২০২৫) এ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু ক্লাস শুরু হওয়ার তিনমাস পরও নবীনদের হাতে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তুলে দিতে পারেনি যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ। আসন সংখ্যা হিসেবে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে থেকে যবিপ্রবি প্রশাসন নবীন শিক্ষার্থীদের থেকে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার বাবদ মোট ২ লক্ষ বিরাশি হাজার টাকা নিয়েছে ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করে, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের একটি অংশ হচ্ছে অ্যাকাডেমিক অর্ডিন্যান্স। ২০২৪-২৫ সেশনের জন্য গঠিত অ্যাকাডেমিক অর্ডিন্যান্স প্রণয়ন কমিটি যথাসময়ে অর্ডিন্যান্স জমা দিতে না পারায় যথাসময় অতিবাহিত হওয়ার তিন মাসেও শিক্ষার্থীদের নিকট অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তুলে দিতে পারেনি প্রশাসন। এ কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন।
২০২৪-২৫ সেশনের মেহেদী হাসান নামে এক শিক্ষার্থী জানান, জনপ্রতি তিনশ টাকা করে ফি নিয়েও তিন মাসে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার না দিয়ে আমাদের সাথে সম্পূর্ণ অন্যায় করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যদি প্রশসন ক্যালেন্ডার না দিতে পারে তবে শিক্ষার্থীদেরকে ঐ বাবদ ফি কেন নিয়েছে? এ ফি আমরা ফেরত চাই।
অ্যাকাডেমিক অর্ডিন্যান্সের বিলম্বের বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের অ্যাকাডেমিক অর্ডিন্যান্স প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক যবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন বলেন, অ্যাকাডেমিক অর্ডিন্যান্সের কারণে বিলম্বিত হয়েছে এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এ বিষয়ে যবিপ্রবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. মোঃ কোরবান আলী বলেন, কেনাকাটার জটিলতার কারণে যথাসময়ে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই অ্যাকডেমিক ক্যালেন্ডার শিক্ষার্থীদের নিকট পৌঁছে দিব।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর