• ঢাকা
  • ঢাকা, শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৪ সেকেন্ড পূর্বে
সোহেল রানা
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০২৫, ০১:১৫ দুপুর

সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবী তৃনমূল বিএনপির, মশাল মিছিল

ছবি: প্রতিনিধি, বিডি২৪লাইভ

সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে নিয়ে তৃণমুলে নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে দলটি সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিএনপি বয়োবৃদ্ধ এম. আকবর আলীর নাম ঘোষনা করেছে। এরপর থেকেই দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীদের চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা ঘোষিত প্রার্থীর পক্ষে কোন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না। এ অবস্থায় দলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করেছেন। এছাড়াও বৃহস্পতিবার রাতে নেতাকর্মীরা উপজেলা সদরে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবীতে মশাল মিছিলও করেছে।

উল্লাপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিগত ১৬ বছর এম. আকবর আলী মাঠে ছিলেন না। কোন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেননি। নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের খোজ নেয়নি। এ অবস্থায় তাকে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষনা করায় উল্লাপাড়ার তৃনমুল বিএনপির নেতাকর্মীরা হতাশ এবং হতভম্ব। অন্যদিকে আজাদ হোসেনসহ অন্যান্য প্রার্থীরা দীর্ঘ ১৬ বছর মাঠে থেকে রাজনীতি করেছেন। আজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ১৬ বছর মামলা হয়েছে ৪১টি মামলা হয়েছে। তিনি বহুবার জেল খেটেছেন। দলের দুঃসময়ে প্রতিটি নেতাকর্মীর পাশে থাকায় জনপ্রিয়তার দিকে তিনিই শীর্ষ অবস্থানে রয়েছেন। তারেক রহমানের কাছে দলের স্বার্থে এবং আসনটিতে বিজয়ের স্বার্থে আজাদ হোসেন অথবা ত্যাগী অন্য কোন নেতাকে মনোয়ন দেওয়ার দাবী করছি।

উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নিক্সন কুমার আমিন বলেন, এম. আকবর আলী মনোয়ন পাওয়ার পর যুবদলের কর্মীরা নিস্ক্রিয় রয়েছে। এতে নির্বাচনী কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। যুবদলের নেতাকর্মীরা আন্দোলন সংগ্রাম করে এতোদিন উল্লাপাড়ার রাজনীতি সক্রিয় রেখেছিল। কিন্তু ত্যাগী কোন নেতা মনোনয়ন না পাওয়ায় বর্তমানে নেতাকর্মীরা নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে।

তিনি আক্ষেপ করে আরো বলেন, অবস্থা এমন যুবদলের সদস্য সচিব হয়ে আকবর আলীর সাথে দেখা করতে তার আশপাশের হাইব্রিড বিএনপির অনুমতি নিতে হয়। এ অবস্থায় নির্বাচন হলে উল্লাপাড়া আসনে বিএনপির ভরাডুবি নিশ্চিত। আমরা যুবদলের পক্ষ থেকে বিগত ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রামে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই আজাদ হোসেন বা অন্য কোন মাঠের ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন দেয়ার দাবী জানাচ্ছি।

উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রেসাদ করিম নয়ন বলেন, আজাদ হোসেনের বাবা সরাফত আলী উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন। আজাদ হোসেন উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি এবং পৌর বিএনপির আহবায়ক ছিলেন। ২০০৯-২০১৫ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এবং ২০১৫ থেকে অদ্যবধি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। তার মতো ত্যাগী নেতা মনোনয়ন না পাওয়ায় আমরা হতাশ। যে কারনে ছাত্রদলের কোন নেতাকর্মী এখনো নির্বাচনী মাঠে নামেনি। আমরা মনোনয়ন পরিবর্তন পুর্বক আজাদ হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবী করছি।

উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারন সম্পাদক মো. মন্তাজ আলী জানান, বিগত ১৬ বছর আজাদ হোসেন শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন না। আকবর আলীকে আমরা কখনো পাশে পাইনি। তাই আমরা এম. আকবর আলীর পক্ষে কাজ করব না। মনোয়ন পরিবর্তন করে আজাদ হোসেনকে দিলে শ্রমিক দল মাঠে নামবে।

উপজেলা তাঁতী দলের সভাপতি ইউসুফ আলী জানান, যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি এখনো তাঁতী দলকে নির্বাচনী মাঠে নামার জন্য ডাকেননি। এ কারনে আমরা নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে আছি। আর ডাকবেই বা কেন? তিনি তো ১৬ বছর মাঠে ছিলেন না। তাই ত্যাগী নেতাকর্মীদের তিনি চেনেন না। এ জন্য আমরা তাঁতী দলের পক্ষ থেকে প্রার্থীর পরিবর্তন চাই।

জেলা স্বেচ্ছাবেক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম বাবলু জানান, দলের ভাবমুর্তি খারাপ হবে বলে মনোনয়ন পরিবর্তনের জন্য বড় ধরনের মিছিল-সমাবেশ করা হয়নি। এম. আকবর আলী মনোয়ন পাওয়ায় তৃনমুলের নেতাকর্মী এমনকি সাধারন মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। তাদের বুক ফাটা আহাজারি দল কেন এমন করল? ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন না দিয়ে কেন এমন একজন বয়োবৃদ্ধ এবং মাঠ ছেড়ে ১৬ বছর পালিয়ে থাকা ব্যক্তিকে মনোয়ন দিলেন? এই ক্ষোভ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবীতে উপজেলা সদরে মশাল মিছিল করেছে নেতাকর্মীরা।

তিনি আরো জানান, উল্লাপাড়ায় বিএনপির প্রার্থী যাকে করা হয়েছে তিনি ৯৫ বছর বয়সের একজন বৃদ্ধ। তার নিজেরই চলাফেরা করা কষ্ট। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে জামানত হারিয়েছিলেন। ২০০১ সালে তাঁর ভুলের কারনে পুর্নিমা ধর্ষন মামলা হয়েছিল। যার কারনে দেশ-বিদেশে বিএনপির ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে এবং বিনা অপরাধে নেতাকর্মীরা সাজা ভোগ করছেন। এমন একজন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ায় দলের ত্যাগী কর্মীদের চাপা কান্না বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও মনোনয়ন প্রত্যাশী আজাদ হোসেন জানান, ১৬ বছর মাঠ থেকে দুরে থাকা বয়োবৃদ্ধ একজন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ায় নেতাকর্মীরা হতাশ। তাই দ্রুত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবী জানান তিনি।

সাজু/নিএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]