ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান হোয়াইট হাউসে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। ২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যার পর এটি তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যুক্তরাষ্ট্র সফর, যা দুই দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ক্রাউন প্রিন্সের আগমনে হোয়াইট হাউস বিশেষ আয়োজন করেছে। লাফায়েত স্কোয়ারের সড়কে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পতাকা একসঙ্গে ওড়ানো হয়েছে এবং সাউথ লনে সামরিক ফ্লাইওভারের মাধ্যমে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে—যা খুব কম বিদেশি নেতা পান।
বৈঠকে উন্নত সামরিক সরঞ্জাম—বিশেষ করে F-35 যুদ্ধবিমান বিক্রয়—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, বিনিয়োগ ও খনিজসম্পদ নিয়ে সম্ভাব্য চুক্তি আলোচনায় রয়েছে। যদিও কিছু মার্কিন আইনপ্রণেতা F-35 বিক্রয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে মধ্যপ্রাচ্যে কৌশলগত জোট শক্তিশালী করার অংশ হিসেবে দেখছে।
খাশোগজি হত্যার পর এমবিএসকে আন্তর্জাতিক মহলে একঘরে ভাবা হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং সৌদির অর্থনৈতিক রূপান্তর পরিকল্পনা (ভিশন ২০৩০) তাঁকে আবার বৈশ্বিক আলোচনার কেন্দ্রে ফিরিয়ে এনেছে।
হোয়াইট হাউসের এই বৈঠকে শক্তি নিরাপত্তা, সামরিক সহযোগিতা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও প্রযুক্তি বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ইসরায়েল–সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রসঙ্গও পরোক্ষভাবে আলোচনা হতে পারে, যদিও তাৎক্ষণিক কোনো ঘোষণা আসার সম্ভাবনা কম।
মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের উষ্ণ অভ্যর্থনা দেখাচ্ছে যে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক স্বার্থই এখন মূল বিবেচনা। এ সফর মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্য, বৈশ্বিক কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর