দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মাত্রার ভূকম্পনের মাত্র ২৪ ঘণ্টা না যেতেই আবারও কেঁপে উঠলো জনপদ। শুক্রবারের ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি ঘটে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে। তার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডে হয় এই ভূকম্পন। তবে এটি গতকালের তুলনায় দুর্বল হওয়ায় তেমন প্রভাব পড়েনি।

শনিবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে প্রফেশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রাথমিকভাবে তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, মৃদু মাত্রার এই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ঢাকার ২৬ কিলোমিটার দূরে গাজীপুরের বাইপাইল এলাকায় ছিল। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩ ম্যাগনিটিউড। এই ভূমিকম্পটিও গতকালের কম্পনটির সমান গভীরতায় সংঘটিত হয়েছে। একই তথ্য দেখানো হয় সরকারি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটেও।
তিনি জানান, আশুলিয়ায় অনভূত ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল নরসিংদীর পলাশে। এটি গতকালের মাধবদীতে অনুভূত হওয়া কম্পনের আফটার শক।
তিনি আরও জানান, আফটার শক ১০-২০ কিলো দূরেও হতে পারে। সেক্ষেত্রে গতকালের ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থলের কাছেই হয়েছে এটি।
সামনে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কার কথা জানিয়ে রুবায়েত বলেন, ‘গত ১০০ বছরে ঢাকায় এমন ভূমিকম্প হয়নি। যেটি গতকাল হয়েছে। আমরা বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।’
কিন্তু দুপুর ১টার দিকে ওয়েবসাইটের তথ্য পরিবর্তন করে আবহওয়া অধিদফতরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র জানিয়েছে, শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর পলাশে। ঢাকার আবহাওয়া অফিস থেকে নরসিংদীর পলাশের দূরত্ব একই অর্থাৎ ২৬ কিলোমিটার দেখিয়েছে তারা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর