পাঁচ দশমিক সাত মাত্রার নরসিংদীর মাধবদীতে শুক্রবার যে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছিলো তাতে কেঁপে ওঠেছিলো রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ। ভূমিকম্পের জেরে এখন পর্যন্ত মারা গেছে অন্তত এগার জন, আর আহত হয়েছে পাঁচশোর বেশি মানুষ।আজ আবারও সেই নরসিংদী থেকে কয়েক ঘন্টার ব্যাবধানেই দুই বার ভুমিকম্পের উতপত্তি হয়।
ঢাকা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে নরসিংদীর জেলার মাধবদী উপজেলায় মাটির প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের শক্তি জমছে বলে জানিয়েছে দেশি বিদেশি সংস্থা ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ইউএসজিএস-এর মতে, বাংলাদেশের ৭ কোটির মতো মানুষ মৃদু বা হালকা ঝাঁকুনি অনুভব করেছেন।
শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ভূমিকম্পটিকে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প হিসেবে বর্ণনা করেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া বিভাগও।
এরপর আজ শনিবার আবারও মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিলো ৩ দশমিক ৩, যার উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলারই পলাশ উপজেলা।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মাধবদীর যেই ভূমিকম্প সারাদেশে, বিশেষ করে ঢাকায় যে তীব্র আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে তার কারণ কি? কিংবা ঢাকা শহরে ব্যাপক ঝাঁকুনি দেয়া এই ভূমিকম্প সম্পর্কে আর কী জানা যাচ্ছে?
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলছেন, মাধবদী ভূমিকম্পের কারণ ভূগর্ভে ইন্ডিয়ান প্লেট ও বার্মিজ প্লেটের অবস্থান পরিবর্তন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর