রাজবাড়ীর নূরুল হক ওরফে নূরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন বাদী ও নূরাল পাগলার শ্যালিকা শিরিন বেগম
সোমবার দুপুরে তিনি গোয়ালন্দ আমলি আদালতে এ–সংক্রান্ত আবেদন করেন। আদালত আবেদন গ্রহণ করে শুনানির জন্য ২২ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাদী ও আসামিদের মধ্যে আপস-মীমাংসা হওয়ায় শিরিন বেগম মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেছেন।
১৩ নভেম্বর ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪০০ থেকে ৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলাটি করেন শিরিন বেগম। এ মামলায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, আওয়ামী লীগ, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, পরিবেশবাদী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী, বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়।
অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত তদন্তের দায়িত্ব দেয় ফরিদপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
মামলার পর এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অনেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছাড়েন। স্থানীয়ভাবে মামলাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে সমালোচনা করা হয়। এ বিষয়ে উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি ১৭ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
প্রধান আসামি ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খন্দকার আবদুল মুহিত হীরা বলেন, ‘একটি মিথ্যা মামলা থেকে আমরা বহু নিরীহ মানুষ রেহাই পেলাম। যাঁরা পাশে ছিলেন, তাঁদের ধন্যবাদ।’
৫ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দ বাজারে বিক্ষোভ শেষে নূরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় তাঁর লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন এবং গুরুতর আহত ভক্ত রাসেল মোল্লার মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় রাসেলের বাবা আজাদ মোল্লা হত্যা, লুটপাট ও লাশ উত্তোলনের অভিযোগে ৮ সেপ্টেম্বর তিন থেকে চার হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ১২ জন। পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আরেক মামলায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর