বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান অভিযোগ করেছেন, একটি ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ধর্মের নামে সাধারণ মানুষকে বোকা বানাচ্ছে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেহেশতের টিকেট বিক্রি করছে। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, বগুড়ার মাটি বিএনপি ছাড়া অন্য কিছু নয়, এটি বিএনপির ঘাঁটি।
আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নারীদের আরও সক্ষম করে তুলবেন। নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে শহরের ডিজে উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বগুড়া-৫ বিএনপির মনোনীত গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের নির্বাচনী অগ্রাধিকার নারী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বেগম সেলিমা রহমান বলেন, দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন শিক্ষায় মেয়েদের জন্য উপবৃত্তি চালু করেন এবং নারীদের সকল ক্ষেত্রে ক্ষমতা ও কাজের সুযোগ করে দেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, বেগম খালেদা জিয়াই তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, তিনি তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচিতে নারীর ক্ষমতায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথাও তুলে ধরেন। তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে নোয়াখালীতে নারী ধর্ষণের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সমাবেশ পরিচালনা করেন নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, বেহেশতের টিকিটের মালিক আল্লাহ, কোনো দল নয়, ঘরে ঘরে গিয়ে তারেক রহমানের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, এখন স্লোগান ও সমাবেশের সময় নয়, বরং ঘরে ঘরে গিয়ে সংগঠিত হওয়ার সময়। তিনি প্রতিটি নেতাকর্মীকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দলের বার্তা প্রচার করার নির্দেশ দেন।
ধর্ম ব্যবসায়ীদের অপপ্রচারের জবাবে তিনি বলেন, বেহেশতের টিকিটের মালিক আল্লাহ, কোনো দলকে ভোট দিয়ে নয়। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক, (শেরপুর-ধুনট) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন, বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ তাহা উদ্দিন নাঈন, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল বাসার, নিরবাহী সদস্য আসিফ সিরাজ রব্বানী সানভি, বগুড়া জেলা মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড. শাহজাদি লায়লা, সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, সাংগঠনিক এ্যাড. মেরি, জেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক এম,আর হাসান পলাশ, শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি পিয়ার হোসেন পিয়ার, সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হিরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান নিলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন, শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ আপেল, যুবদল নেতা আশরাফুদ্দৌলা মামুন, শাহাবুল করিম, স্বেচ্ছা সেবক দল নেতা, শাহ মো: কাউছাল আলী কলিন্স, হাফিজুল আসিফ শাওন প্রমুখ।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর