সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় এক নারী ইউপি সদস্যকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সংবাদ পেয়ে বিপুলসংখ্যক লোকজন ঘটনাস্থলে জমায়েত হন।
নিহত পেয়ারা খাতুন উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের রতনকান্দি গ্রামের হানিফ সরকারের মেয়ে। তিনি স্থানীয় ১, ২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন।
নিহতের বাবা হানিফ সরকার বলেন, "এক বছর আগে মেয়ে পেয়ারা খাতুন প্রথম স্বামীকে তালাক দেন। এ অবস্থায় নিজ সংসারে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের আব্দুল আলীম চাপ সৃষ্টি করে আমার মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।"
"বিয়ের পর মেয়ের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে ১৭ লাখ টাকা নেন তিনি। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয় এবং মেয়েকে নির্যাতন করতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য সলিসও হয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে আমার মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর জামাই আলীম ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়েছে। মেয়ে হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবি জানাই।"
শাহজাদপুর থানার ওসি আসলাম আলী জানান, আলীম দুই স্ত্রীকে নিয়ে একই বাড়িতে সংসার করতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় স্ত্রী নারী ইউপি সদস্য পেয়ারা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামীসহ সবাই পালিয়েছেন।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর