নবম পে-স্কেল প্রণয়নকে ঘিরে সব মন্ত্রণালয়ের ৭০ জনেরও বেশি সচিবের সঙ্গে চার দফায় মতবিনিময় করেছে কমিশন এবং তাদের প্রয়োজনীয় মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে। সচিবদের বেশিরভাগই আকাশচুম্বী নয়, বরং বাস্তবসম্মত সুপারিশ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিভিন্ন সংগঠন যেখানে তিন থেকে চার গুণ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি প্রস্তাব করেছে, সেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সচিব এ ধরনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। তাদের মতে, সুপারিশ তৈরির সময় সরকারের আর্থিক সক্ষমতাকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে।
পে কমিশন সূত্রে জানা যায়, অনলাইনে মতামত গ্রহণের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত আড়াই শতাধিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। সবশেষ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত সংগ্রহ করা হয়। সুপারিশ প্রণয়নে তাদের মতামত গুরুত্বসহ বিবেচনা করা হচ্ছে।
কমিশনের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, ‘সচিবদের মতামত নেওয়া অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই তাদের সঙ্গে ধাপে ধাপে সভা করা হয়েছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছেন। এগুলো বর্তমানে পর্যালোচনা চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কমিশন সুপারিশ জমা দিতে পারবে বলে আশা করছি।’
এদিকে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে পূর্ণোদ্যমে কাজ চলছে জানিয়ে কমিশনের সদস্যরা বলছেন, এরইমধ্যে কাজের অর্ধেকের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেওয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো এবং গ্রেড পুনর্বিন্যাসের বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর