নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেলেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মজিবর রহমান ইকবাল। বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আরও ৩৬ আসনে দলীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পূর্বে স্থগিত থাকা কিশোরগঞ্জ জেলার দুটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। দলীয় মনোনয়ন পাওয়া দুই আসনের দুই প্রার্থী হলেন, কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম ও কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মজিবর রহমান ইকবাল।
এর মধ্য দিয়ে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো। বিশেষ করে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে সবার আলাদা নজর ছিল। কেননা এ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন তালিকায় দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ছাড়াও শরিক জোটের একাধিক নেতার নাম আলোচনায় ছিল। এছাড়া প্রথম ধাপে বিএনপি’র ঘোষিত তালিকায় এই আসনটি স্থগিত রাখায় রাজনীতির মাঠে নানা জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়।
এ রকম পরিস্থিতিতে শেখ মজিবর রহমান ইকবালকে বিএনপি’র মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে রাজপথে নামেন দুই উপজেলার নেতাকর্মীরা। বাজিতপুর থেকে নিকলী দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে মানববন্ধন, ব্যাপক শোডাউন ও বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে তারা কেন্দ্রকে বার্তা দেন।
এ রকম পরিস্থিতিতেই গত ২৭ নভেম্বর শেখ মজিবর রহমান ইকবাল বাজিতপুরের ঐতিহাসিক ডাকবাংলো মাঠে জনসভা আহ্বান করলে সেখানে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। হাজার হাজার জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হন ইকবাল। এই জনসমুদ্র থেকে ইকবালের জন্য দলের কাছে ধানের শীষ প্রতীক চান নেতাকর্মীরা। অবশেষে বৃহস্পতিবার দলীয় প্রার্থী হিসেবে শেখ মজিবর রহমান ইকবালের নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো।
স্থানীয়রা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে নেতাকর্মীদের আবেগকেই দল মূল্যায়ন করেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন শেখ মজিবর রহমান ইকবাল। দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাজিতপুর ও নিকলী এই দুই উপজেলার বিএনপি'র নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। স্বভাবতই ইকবালকে ঘিরে নেতাকর্মীরা নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর