বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দেশের বাজারে বিদ্যমান অবিক্রীত সব মোবাইল হ্যান্ডসেট আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়মিতকরণের (তালিকাভুক্ত) বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিটিআরসিতে মোবাইল ফোন আমদানি ও ভেন্ডর লাইসেন্স তালিকাভুক্তিকরণ বিষয়ে আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি প্রতিনিধিরা এবং মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের সদস্যরা।
বিটিআরসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি ও ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট প্রক্রিয়া সহজ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রস্তাব ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১. ন্যূনতম কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে দ্রুত ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট সনদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি ক্লোন, কপি, ব্যবহৃত বা রিফারবিশড মোবাইল হ্যান্ডসেটের অনুপ্রবেশ রোধে মূল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি যেকোনো অনুমোদিত সরবরাহকারীর প্রত্যয়নপত্র গ্রহণের ভিত্তিতে সহজেই আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
২. অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেটের প্রবেশ ঠেকাতে আমদানি প্রক্রিয়া আরও সহজ ও কার্যকর করতে মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশকে একটি সুস্পষ্ট লিখিত প্রস্তাব জমা দিতে আহ্বান জানায় বিটিআরসি।
৩. ব্যবসায়ীদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে, বর্তমানে বাজারে থাকা সব অবিক্রীত হ্যান্ডসেটের তথ্য নির্ধারিত ফরমে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিলে নিয়মিতকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিটিআরসি আরও জানায়, ‘বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার, বাজারজাতকরণ ও তালিকা গ্রহণের নির্দেশিকা, ২০২৪’ অনুযায়ী বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনে কমিশন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ এবং বিটিআরসি জানায়, বর্তমানে বাজারে প্রায় ৫০ লাখ অনিবন্ধিত মোবাইল হ্যান্ডসেট রয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় এনইআইআর (National Equipment Identity Register) চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ অক্টোবর বিটিআরসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এনইআইআর চালু হলে অবৈধ মোবাইল সেটের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ হবে। এতে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি রোধের পাশাপাশি দেশের মোবাইল উৎপাদন শিল্প আরও সুরক্ষিত হবে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর