রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন গৃহকর্মী আয়েশা আক্তারকে শনাক্তের পর তাকে ধরতে তৎপরতা জোরদার করেছে পুলিশ। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তার গতিবিধি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি বারবার অবস্থান পরিবর্তন করছেন।
মোহাম্মদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা বলেন, সন্দেহভাজন গৃহকর্মীকে মোটামুটিভাবে শনাক্ত করা গেছে। তাকে গ্রেপ্তারে কয়েকটি স্থানে অভিযান চলছে।
সোমবার রাতে নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, চার দিন আগে জেনেভা ক্যাম্পের তরুণী আয়েশা আক্তারকে খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজে রাখা হয়।
আজিজুল ইসলাম জানান, সোমবার সকাল ৭টার দিকে তিনি কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। পরে স্ত্রী লায়লার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বেলা ১১টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন স্ত্রী গলাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। আর মেয়ে নাফিসা বিনতে আজিজকে (১৫) গুরুতর জখম অবস্থায় গেটের কাছে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে সাদা সালোয়ার-কামিজ, প্রিন্টের ওড়না ও স্নিকার্স পরা এক তরুণী ভবনের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছেন। মুখে মাস্ক ও পিঠে একটি ব্যাগ ছিল। গেটের সামনে বসে থাকা তিনজনের একজন তার জন্য গেট খুলে দেন। এরপর তিনি অটোরিকশায় উঠে স্থান ত্যাগ করেন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, মা–মেয়েকে হত্যার পর আয়েশা নাফিসার পোশাক পরে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। যাতে সহজে শনাক্ত করা না যায়। এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
সিসিটিভি ফুটেজ ধরে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে সন্দেহভাজন গৃহকর্মী আয়েশা আত্নগোপনে থাকায় গ্রেপ্তার এখনো সম্ভব হয়নি। পুলিশের দাবি, দ্রুতই তাকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর