যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশ সেরা উদ্ভাবক মিজান কারাগারে আত্মহত্যার মাধ্যমে নিজেকে শেষ করে দিলেন। তিনি যশোরের শার্শার আলোচিত উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজান। তিনি একটি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন। মৃত মিজানুর রহমান মিজান শার্শা উপজেলার আমতলা গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে। তবে তাকে শার্শা তথা সারা দেশের মানুষ মানব দরদী হিসাবেই বেশি চিনতেন।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে যেকোনো সময়ে কারাগারের অভ্যন্তরে কার্পেট চালির দরজা ভেঙে প্রবেশ করেন তিনি। সেখানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে কর্তব্যরত কারারক্ষীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেন। কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহমেদ জানান, গত ২৪ জুলাই একটি হত্যা মামলায় তিনি কারাগারে আসেন। তিনি মূলত কপোতাক্ষ-৩ ভবনে থাকতেন। কিন্তু কৌশলে তিনি কার্পেট চালির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে যান। সেখানেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানোরপর তারা আসলে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশ সেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান যশোরের শার্শার একজন মোটর সাইকেল মেকানিক। যিনি বহু উদ্ভাবনী যন্ত্র আবিস্কার করেছেন এবং দেশ সেরা উদ্ভাবক হিসাবে সিকৃতিও পেয়েছেন। তিনি প্রতিবন্ধীদের জন্য মোটরগাড়ি, ডিজিটাল কাইচি, জ্বালানিবিহীন সেচপাম্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র তৈরি করেছেন।
এছাড়া করোনাকালে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বস্ত্রসহ অর্থ বিতরন করে মানবতার ফেরিওয়ালার উপাধি লাভ করেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অসংখ্য এয়াতিম ও অসহায় শিশুদের জন্য কাজ করেছেন।
গত ২৪ জুলাই’২৫ যশোরের বেনাপোলে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক সুজায়েতুজ্জামান প্রিন্সকে হত্যার ঘটনার ২১ বছর পর রায়ে উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজানসহ চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। ভগ্নিপতি উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজান হত্যার শিকার প্রিন্সের আপন ভগ্নিপতি ছিলেন।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর