আমজনতা দলের সদস্য সচিব তারেক রহমান অভিযোগ করেছেন যে, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী ছাত্রসংঘ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছে বুদ্ধিজীবীদের একটি তালিকা সরবরাহ করেছিল, যার ভিত্তিতেই পরিকল্পিতভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর স্মৃতিসৌধ এলাকায় এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা রাও ফরমান আলীর ডায়রিতে যে বুদ্ধিজীবীদের তালিকা পাওয়া যায়, সেটি হঠাৎ তৈরি হয়নি। এই তালিকা প্রস্তুতে সরাসরি ভূমিকা ছিল জামায়াত ও তাদের সহযোগী ছাত্রসংঘের। সেই তালিকার নামগুলোর সঙ্গেই মিল রেখে শহীদ হয়েছেন আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা।
তিনি অভিযোগ করেন, একটি মহল আজও সেই ইতিহাস আড়াল করার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারদের অপরাধ লঘু করতে গিয়ে ভিন্ন রাষ্ট্র বা ভিন্ন শক্তিকে দায়ী করার ন্যারেটিভ ছড়ানো হচ্ছে, যা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের চরম বিকৃতি।
আমজনতা দলের সদস্য সচিব বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস শোক ও আত্মসমালোচনার দিন। অথচ আজ আমরা দেখছি, কিছু গোষ্ঠী এই দিনেও ইতিহাস বিকৃতির উৎসবে মেতে উঠেছে। এটি শুধু শহীদদের অবমাননা নয়, জাতির সঙ্গে প্রতারণা।
তিনি আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের সদস্যরা আজও সেই নৃশংসতার স্মৃতি বহন করছেন। তাদের ত্যাগের ইতিহাস অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।
তারেক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা বন্ধে রাষ্ট্রকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। তিনি বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি ও সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়ে গবেষণা, প্রামাণ্য দলিল সংরক্ষণ এবং নতুন প্রজন্মের কাছে সত্য ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান জানান।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর