যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার তালিকা আরও সম্প্রসারণ করেছেন। নতুন করে ফিলিস্তিন ও সিরিয়াসহ পাঁচটি আরব ও আফ্রিকান দেশকে যুক্ত করা হয়েছে এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায়।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউস এক ঘোষণায় জানায়, অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ির অংশ হিসেবে নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জুন মাসে ঘোষিত ১২ দেশের তালিকার সঙ্গে আরও ছয়টি দেশ যুক্ত হলো।
নতুন করে যেসব দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, সেগুলো হলো—ফিলিস্তিন, সিরিয়া, বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার ও দক্ষিণ সুদান।
তবে ঘোষণাপত্রে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায়, সেখানে ‘ফিলিস্তিন অথরিটি ডকুমেন্টস’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা বা অনুমোদিত ভ্রমণ নথি ব্যবহার করে যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করবেন, তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।
হোয়াইট হাউসের ভাষ্য অনুযায়ী, পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত কয়েকটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ সক্রিয় রয়েছে এবং এসব সংগঠনের হামলায় অতীতে মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ওই অঞ্চলগুলোতে যাত্রী যাচাই ও নিরাপত্তা স্ক্রিনিং কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, “এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা বা অনুমোদিত ভ্রমণ নথি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের যথাযথভাবে যাচাই করা সম্ভব নয়।”
এর কয়েক সপ্তাহ আগে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনার পর ট্রাম্প তথাকথিত ‘তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো’ থেকে অভিবাসনের ওপর ‘স্থায়ী বিরতি’ দেওয়ার ঘোষণা দেন। নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে সেই নীতিরই ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে ডানপন্থি রাজনীতিকদের ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য ও সমালোচনাও আরও জোরালো হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর