দিনের বেলায় রোদের হালকা উষ্ণতা থাকলেও সন্ধ্যা নামতেই বইছে হিমেল হাওয়া। রাত ও ভোরের কনকনে ঠান্ডায় প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শীতের তীব্রতার আগমন। শীত শুরু হতেই নড়াইলে বেড়েছে লেপ, তোশক, জাজিম ও কম্বলের চাহিদা। আর এই চাহিদাকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশকের কারিগর ও ব্যবসায়ীরা।
নড়াইল জেলা শহরের তুলা পট্টিতে গিয়ে দেখা যায়, ‘প্রতিটি কারখানায় চলছে তুলা ঝাড়া, সেলাই আর প্যাকেজিংয়ের কাজ। আগে যেখানে এক-দু’জন শ্রমিক কাজ করতেন, এখন বাড়তি অর্ডার সামলাতে তিন-চারজন একসঙ্গে কাজ করছেন।,
ব্যবসায়ীরা জানান, ‘রোদের তাপ কমলে, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেপ-তোশকের বেচাকেনাও আরও বাড়বে। তবে কাপড়ের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় লেপ-তোশক তৈরির খরচও বেড়েছে।,
কারিগররা জানান, ‘ব্যস্ততার এই মৌসুমে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টানা কাজ করতে হয়।, ২২ বছর ধরে লেপ তোশক তৈরির সঙ্গে যুক্ত এক কারিগর বলেন, ‘সারাবছর কম বেশি কাজ হয়, তবে শীতের সময়ই বেশি কাজ হয়। দিনে ১৫-২০টা লেপ তৈরি করা যায়। আয় খুব বেশি না, সংসার চালানো কষ্টকর। শিখেছি, তাই বাধ্য হয়েই করে যাচ্ছি।,
ব্যবসায়ীরা জানান, ‘সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ায় লেপ-তোশক তৈরির উপকরণের খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে কিছুটা। এ মৌসুমে লেপ তৈরির প্রতি গজ কাপড়ের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, তোশকের কাপড় ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং জাজিম ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রকারভেদে গার্মেন্টস তুলা কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা, ফোম তুলা ২০০ টাকা এবং শিমুল তুলা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জুটের দাম কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। তুলার দাম এবার প্রায় সব প্রকারে ২০ থেকে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে রেডিমেড লেপ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১৫০০ টাকায়, জাজিম ২৫০০ থেকে ৪ চার হাজার টাকায়।,
শীত বাড়তেই জমে উঠেছে লেপ-তোশকের ব্যবসা। কাপড়ের দাম কিছুটা বাড়ায় লেপ-তোশক তৈরির খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দাম বাড়ায় খরচও বেড়ে গেছে তাদের। শীত মৌসুমকে ঘিরে আশায় বুক বেঁধে আছেন নড়াইলের এই ব্যবসায়ী ও কারিগররা।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর