বেনাপোল স্থলবন্দরের কেমিক্যাল শেডে সংরক্ষিত রাসায়নিক দ্রব্য থেকে উদ্ভূত সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় কঠোর ৭ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের আদেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) পণ্য দ্রুত অপসারণ ও রাসায়নিক দ্রব্যের নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) ও উপসচিব মোঃ শামীম হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরকে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
নির্দেশনায়, নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে যে সকল ব্যবস্থাসমূহ বাস্তবায়ন করার আদেশ প্রদান করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে: কেমিক্যাল শেডগুলোতে সংরক্ষিত নিলামযোগ্য মেয়াদোত্তীর্ণ ও পরিত্যাক্ত কেমিক্যাল পণ্য দ্রুত অপসারণ করা; কেমিক্যাল শেডগুলোতে পণ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে স্টোরেজ নীতিমালা ও সেফটি ডাটাশিট গাইডলাইন অনুসরণ করা; ভারতীয় ড্রাইভারদের যত্রতত্র রান্না না করতে দিয়ে রান্নার জন্য নির্দিষ্ট এলাকা নির্ধারণ করা; কেমিক্যাল শেডসহ বন্দরের সকল শেড/ইয়ার্ড এলাকায় প্রত্যেককে নিরাপত্তা গেইটে চেকিংপূর্বক অগ্নিপ্রজ্জ্বলনে সহায়ক লাইটার, ম্যাচ বক্স, দিয়াশলাই ইত্যাদি নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করতে না দেওয়া।
নিষেধ সত্ত্বেও কেউ বন্দর এলাকায় ধূমপান/রান্না করলে তাকে আইনের আওতায় আনা; কেমিক্যাল শেড (শেড ৩২-৩৫) এলাকা ও টিটিআই ইয়ার্ডে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা। সংশ্লিষ্ট নয় এমন কারও বন্দরে প্রবেশ বন্ধে কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ; কেমিক্যাল শেড (শেড নম্বর ৩২-৩৫) এলাকায় ০৭ সদস্য বিশিষ্ট (আনসার-০৪ ও নিরাপত্তাকর্মী-০৩ জন) এবং টিটিআই ইয়ার্ডে ০৫ সদস্যের (আনসার-০৩ ও নিরাপত্তাকর্মী-০২ জন) যৌথ টহল টিম গঠনপূর্বক সার্বক্ষণিক টহল প্রদান; ফায়ার শাখা কর্তৃক বন্দরের সকল এলাকা নিয়মিতভাবে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং যৌথ টহল টিমকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে হবে।
বন্দর সূত্র ও আলোচিত পত্র থেকে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর-২০২৫ তারিখের ১৮.১৫,০০০০,০০০,০২২,০৩,০০০৩.১৭.৩০০ নং স্মারকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের একটি পত্রের নির্দেশনায় স্মারক নং-১৮,১৫,৪১৯০,০২৫.০০.২৫৯(২).২৪. ১০৪৩ মূলে বেনাপোল স্থলবন্দরের কেমিক্যাল শেডের সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি প্রসঙ্গে এ আদেশ জারি করা হয়।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) ও উপসচিব শামীম হোসেন।
মাসুম/সাএ
সর্বশেষ খবর