ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শহিদ ওসমান হাদীর গায়েবানা জানাজা ও তার হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার বাদ জুম’আ বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ওসমান হাদীর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে জানাজা শেষে শিক্ষার্থীরা হাদীর হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বটতলায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন দুটি হলের নাম শহিদ ওসমান হাদী ও শহিদ আবরার ফাহাদের নামে নামকরণের দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক এস এম সুইট।
সমাবেশে ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ বলেন, *“বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন হলগুলোর মধ্যে একটি ভবনের নাম শহীদ ওসমান হাদীর নামে করার দাবি জানাচ্ছি।”* তিনি আরও বলেন, *“শহীদ ওসমান হাদীকে ‘ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী চতুর্থ শহীদ। এরআগে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরোধীতার কারণে শহীদ জিয়াউর রহমান, ইলিয়াস আলী, আবরার ফাহাদ শহিদ করা হয়েছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর পতিত সরকারের চক্রান্তে দেশজুড়ে অগ্নিকাণ্ড ও হামলার ঘটনা ঘটছে।”*
এসময় ইবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক এসএম সুইট বলেন, *“বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি হলের নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। এর মধ্যে একটি হল শহীদ ওসমান হাদী এবং একটি হল শহীদ আবরারের নামে নামকরণ করতে হবে।”* তিনি আরও বলেন, *“ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী যাদের অবস্থান ছিল, তাদের জন্য রাষ্ট্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। আবরারকে শহিদ করে তার চিন্তা ও মতাদর্শ এবং ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী কর্মকাণ্ডকে থামানো যায়নি। শহিদ ওসমান হাদীকেও শহিদ করে দমানো যাবে না। ইবির ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে ।”*
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্র শিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা "নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর" "যে ভারত খুনি পালে সে ভারত ভেঙে দাও", " যে ভারত হাসিনা পালে সে ভারত ভেঙে দাও", "আমরা সবাই হাদী হব বুক চেতিয়ে লড়াই করব ", "বদরের পথ ধরো সেভেন সিস্টার স্বাধীন কর", "জামায়েত শিবির জনতা গড়ে তোল একথা", "দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা", "গোলামী না আজাদী, আজাদী-আজাদী", "গোলামী না শাহাদাত, শাহাদাত শাহাদাত ", "ভারতের আগ্রাসন, ভেঙে দাও-গুড়িয়ে দাও", "ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ-জিন্দাবাদ", "শহীদের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না", "তুমি কে আমি কে, হাদী-হাদী", "হাদী ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিবো না", "লীগ পাবো যেখানে, ধোলাই হবে সেখানে", "একশন একশন, ডাইরেক্ট একশান", "আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম-সংগ্রাম", ‘খুনীদের ফাঁসি চাই’, "খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনীদের রক্ষা নাই"সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর