ফেনী সদরের লেমুয়ার বিভিন্ন সড়কের সংস্কার হয় নি যুগের পর যুগ।বিশেষত ৩ নং ওয়ার্ডের লেমুয়া টু মমতাজ মিয়া সড়ক ১ যুগেও সংস্কার হয় নি।২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চাঁদপুরের খানকা শরীফ সড়ক কাজ অর্ধেকে রেখে ঠিকাদার পলাতক ৭ মাস। অপরদিকে ১নং ওয়ার্ডের উত্তর চাঁদপুর সড়কের সংস্কার নেই ৬ বছর।এরমধ্যে কাজ হলেও তার স্থায়ীত্ব ১০ মাস ও হয় না।পাশ্ববর্তী ছনুয়া,ধলিয়া ,ফাজিলপুর ইউনিয়নের ৩ টি ইউনিয়নের সকল সড়কের কাজ হয় আ'লীগ সরকারের সময়ে।
এখানে করিমুল্লাহ বি,কম ও রিপন চেয়ারম্যান এবং তার পূর্বে বিএনপির রহুল আমিন কন্ট্রাক্টর প্রতিটি রাস্তার কাজ অত্যান্ত সুন্দর ও টেকসই ভাবে করেছে।তবে ভিপি জয়নালের সময়ে লেমুয়া মমতাজ মিয়া সড়কের পিচঢালাই সড়ক অত্যান্ত টেকসই ভাবে হলেও এরপর আ'লীগ সরকারের সময়ে দুই চেয়ারম্যান সড়ক সংস্কারে কোন কাজ করে নি।বিগত ২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে একবার নির্বাচনী গণসংযোগে এসে নিজাম হাজারী নিজেই দলের লোকদের উপর রাগান্বিত হয়ে বলেচিলেন,লেমুয়ার রাস্তা ঘাট তো কিছুই হয় নি।এটিতো আমি জানতাম না,আজ থেকে লেমুয়ার দায়িত্ব আমার।
স্থানীয়দের দাবি,সরকার আসবে যাবে।দলীয় সহিংসতা থাকবে।বিএনপি যাবে আ'লীগ সরকার গঠিত হবে। এভাবে চলচে যুগের পর যুগ ৫৫ বছর ধরে।কিন্তু আমাদের লেমুয়ার অপরাধ কি? এখানে বিএনপি ও আছে।আ'লীগ ও আছে বানিজ্যিক এলাকা তো পুরোই আ'লীগ ঘাটি। তাহলে রাতের ভোটে হোক বা দিনের লেমুয়াতে চেয়ারম্যান রা ১৭ বছরে কোন কাজ করে নি।
স্থানীয় শরিফ ইসলাম জানান, লেমুয়া মমতাজ মিয়া সড়কের কোন কাজ হয় নি।এখানে দৈনিক ৫০০-৭০০ মানুষের যাতায়াত। সিএনজি চলাচল করে দৈনিক ১০০ টি।এছাড়াও মোটরসাইকেল ,ট্রাক মিনিট্রাক সাইকেল ,রিকশা শতভাগ যাতায়াত এ সড়ক সংস্কার হলে ভাগ্য বদলাবে ৩ লক্ষ মানুষের। এখানে ধলিয়ার দৌলতপুর ,নবাবপুরের মজুপুর মানুষের যাতায়াত। প্রতিদিন শতশত স্কুল কলেজ ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াত।
স্থানীয় সাংবাদিক জহির মিলন জানান,কেন লেমুয়া কে এত অবহেলা সংস্কার কবে হবে?
এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী দীপ্ত দাশ গুপ্ত জানান,লেমুয়া মমতাজ মিয়া সড়ক টেন্ডার প্রসেসে আছে।খানকা সড়ক কার্পেটিং হবে দ্রুত।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর