ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করেছেন, দাবি জানিয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করা হোক। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর নেতাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম ‘শহীদ ওসমান হাদি হল’ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম ‘বীর প্রতীক সেতারা বেগম’ রাখা হোক। একই সঙ্গে, জুলাই গণহত্যায় সমর্থন দেওয়ার কারণে ঢাবির কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে দিকে ডাকসু ও হল সংসদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা এবং আবাসিক শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। তারা ‘ফ্যাসিবাদের আস্তানা, ঢাবিতে থাকবে না’, ‘মুজিববাদ মুজিববাদ, মুর্দাবাদ মুর্দাবাদ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
ঘেরাও কর্মসূচিতে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের বলেন, আমরা ইতিহাস থেকে দেখেছি, হাসিনার চেয়েও বড় স্বৈরাচার ছিল হাসিনার বাবা শেখ মুজিব। হাসিনার বিদায়ের পর সেই স্বৈরাচারের প্রতীক মুজিবুরের কোনো চিহ্ন ঢাবিতে রাখা হবে না। পাশাপাশি জুলাইয়ে যারা গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছে, তাদেরও প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে।
ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং শেখ ফজিলাতুন্নেসা হলের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এসেছে। এর বাইরে আরও তিনটি স্থাপনা আছে ফ্যাসিবাদীদের আইকনদের নামে—শেখ রাসেল টাওয়ার, বঙ্গবন্ধু টাওয়ার, সুলতানা কামাল হোস্টেল। এই তিনটি স্থাপনার নাম পরিবর্তনের জন্য আজকে আমরা আমাদের স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেব।
ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার চেয়ে তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে খুনি হাসিনার ফ্যাসিস্টদের যারা সহযোগিতা করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম-গেস্টরুম কালচার, শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নে যারা সহযোগী ছিল এবং সর্বশেষ জুলাই বিপ্লবে বহিরাগতদের নিয়ে এসে ১৪ জুলাই আমাদের ভাই-বোনদের মেরে রক্তাক্ত করেছে যে খুনি হাসিনার প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি মাকসুদ কামাল এবং তার যে দোসররা আছে, ওই সময়ের প্রক্টর মাসুদুর রহমান, ভিসি মাকসুদ কামাল এবং প্রক্টর গোলাম রাব্বানী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি জিনাত হুদা এবং জুলাই বিপ্লবে যে শিক্ষার্থীদেরকে ব্রাশফায়ার দিতে চেয়েছিল আকরামুজ্জামান এবং ফ্যাসিবাদের দোসর যে সমস্ত শিক্ষকরা আছে, তাদেরকে প্রশাসনিক সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা আবেদন দিয়েছি।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর