শীতের সকালে ঘন কুয়াশার কারণে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে যাত্রীবাহী দুইটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে ময়মনসিংহ–কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের খৈরাটি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ফলে প্রায় আধা ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তিনটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। গুরুতর আহত নান্দাইল উপজেলার আক্কাস আলীর পুত্র হযরত আলী (৫০)-কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন—নান্দাইল উপজেলার আক্কাস আলীর পুত্র হযরত আলী (৫০), শহর উদ্দিনের পুত্র আব্দুর রশিদ (৭৫), ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাহের উদ্দিনের পুত্র মজিবুর রহমান (৫০), খসরু মিয়ার পুত্র সোহেল (৪২), বোরহান উদ্দিনের পুত্র রিয়াজ উদ্দিন (৫১), কিশোরগঞ্জ জেলার জজ মিয়ার পুত্র হানিফ মিয়া (৩০), শামীম মিয়া (৩৭), রাহেলা খাতুন (৬৫), জাহাঙ্গীর আলম (৫৩), জালাল উদ্দিন (৬৫) ও কামরুজ্জামান ভূঁইয়া (৪৫)।

ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী এম.কে সুপার বাস এবং ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা ভৈরবগামী শ্যামলছায়া বাস খৈরাটি এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয় বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রাম প্রসাদ পাল বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাই।”

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল আজম বলেন, “দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাস দুটি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

কুশল/সাএ