বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে চট্টগ্রামের আলোচিত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলা। মামলার পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রমের জন্য মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রেরণের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় শহীদ আলিফের পিতা ও মামলার বাদী জামাল উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আলিফের বাবা মামলাটির বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–১ এর বিচারক আবু বক্কর সিদ্দিক এ আদেশ প্রদান করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, ‘মামলার নির্ধারিত শুনানির দিনে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সেটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ এসেছে। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। মহানগর দায়রা জজ আদালত অথবা অধীনস্থ অন্য কোনো আদালতে এখন মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।’
এদিকে আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে বিচার সম্পন্নের আবেদন করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে তিনি আবেদনটি পৌঁছে দেন। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরীফ উদ্দিন আবেদন গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বলে এপিপি রায়হানুল ওয়াজেদ জানান।
নিহত সাইফুল ইসলাম আলিফের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। তিনি চট্টগ্রাম আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর তিনি খুনের শিকার হন।
২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালী থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। ২০২৫ সালের ১ জুন আলিফ হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন সিএমপির কোতোয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ৩৮ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
গত ২৫ আগস্ট তৎকালীন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি শেষে সুকান্ত দত্তসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছিলেন আদালত। ৩১ জনকে আসামি করে মামলার এজাহার দায়ের করা হলেও এজাহারনামীয় গগন দাশ, বিশাল দাশ ও রাজকাপুর মেথরের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে নতুন করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ আরও ১০ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করে মোট ৩৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর