ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাক কারখানার শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার তমার আদালতে তারা এ জবানবন্দি প্রদান করেন।
জবানবন্দি দেয়া আসামিরা হলেন: তারেক হোসেন (১৯), মানিক মিয়া (২০), নিজামুল হক (২০) ও আজমল ছগীর (২৬)। তারা ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড কারখানার শ্রমিক।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আসামিরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে সেগুলো বলা যাচ্ছে না। তবে আসামিরা নিজেরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সেই কথা স্বীকার করেছেন। পরিকল্পিত মনে হলেও ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ঘটে যায়। আসামিরা নিজেদের সম্পৃক্ততা ছাড়া আরও কিছু নাম বলেছেন, যারা ঘটনায় সরাসরি ছিলেন। তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া বাকি ছয়জনকে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) হেফাজতে নেয়া হবে।
ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের ডুবালিয়াপাড়া এলাকায় গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড কারখানার কর্মী দীপু চন্দ্র দাসকে ধরে নিয়ে মারধর করে হত্যা করা হয়। পরে কারখানা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় সড়ক বিভাজকের একটি গাছে ঝুলিয়ে তার মরদেহে আগুন দেওয়া হয়।
নিহত দীপু চন্দ্র দাস তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মোকামিয়াকান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। এ ঘটনায় তার ভাই অপু চন্দ্র দাস পরদিন অজ্ঞাতনামা ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযান চালিয়ে র্যাব ৭ জন এবং পুলিশ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
আইন ও আদালত এর সর্বশেষ খবর