বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে তিন বিঘা জমির আলু গাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী কৃষক জাহাঙ্গীর আলম।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাথাইল চাপর এলাকায় এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাথাইল চাপর গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম তার জমিতে আলুর আবাদ করেছিলেন। বর্তমানে আলুর গাছগুলোর বয়স ৩৫ দিন। সাধারণত ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। আগামী ২০ দিনের মধ্যেই আলু উত্তোলনের প্রস্তুতি ছিল। জমিতে ইতিমধ্যে বিঘা প্রতি প্রায় ৪০ হাজার টাকা করে খরচ করে ফেলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে দিনমজুর নিয়ে আলুর গাছ বেঁধে দেওয়ার জন্য জমিতে গিয়ে জাহাঙ্গীর আলম দেখতে পান, তার ৩ বিঘা জমির সমস্ত গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। কৃষক জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ, ডিপ টিউবওয়েল নিয়ে একই এলাকার মৃত আনিছুর রহমানের ছেলে মাসুদ রানার সাথে তার দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। ইতিপূর্বে স্থানীয়রা তাকে সতর্ক করেছিলেন যে মাসুদ রানা তার ক্ষতি করতে পারে। সেই শত্রুতার জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
ভুক্তভোগী কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিন বিঘা জমিতে তার বিনিয়োগ ছিল প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। ফলন ভালো হলে তিনি প্রায় ২ থেকে আড়াই লক্ষ টাকার আলু বিক্রি করতে পারতেন। কিন্তু ফসল ঘরে তোলার ঠিক আগ মুহূর্তে দুর্বৃত্তদের এমন তাণ্ডবে তিনি এখন সর্বস্বান্ত। কান্নাজড়িত কন্ঠে কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকালে দিনমজুর নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখি আমার সব শেষ। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। স্বপ্ন ছিল ২০ দিন পরেই ঘরে উঠবে সোনার ফসল। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন মাটির সাথে মিশে একাকার। আমার বড় অংকের আর্থিক ক্ষতি হয়ে গেল। আমি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার চাই।
অভিযুক্ত মাসুদ রানা বলেন, এমন ন্যাক্কারজন কাজ আমি করিনি। তার অনেক শত্রু তারা করতে পারে।
এ বিষয়ে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইব্রাহিম আলী বলেন, এটি অত্যান্ত দু:খ জনক ঘটনা। এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। পেয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর