গতকাল রাতে গণঅধিকার পরিষদ থেকে বহিষ্কারের পর এবার পদত্যাগপত্র জমা দিলেন দলটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাশেদ খান স্বাক্ষরিত ওই পদত্যাগপত্র গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
পদত্যাগপত্রে রাশেদ লিখেছেন, আমার সালাম ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আপনার সাথে রাজপথের সহযোদ্ধা হিসেবে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে দীর্ঘ সময় আন্দোলন-সংগ্রাম ও রাজনীতি করেছি।
এই পথচলায় আপনিসহ আপনার সহযোদ্ধারা কেউ আমার আচরণ ও বক্তব্যে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি সবার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
তিনি আরো লিখেন, দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করার বিষয়ে আপনার সম্মতি পাওয়ায় আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যেখানেই থাকি, আমাদের সম্পর্ক থাকবে মধুর ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে অটুট। আমি আপনার নিকট দোয়া ও ভালোবাসা চাই।
ব্যক্তিগত কারণে আমি আজ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করছি এবং আপনার ও দলের জন্য শুভকামনা ব্যক্ত করছি।
সবশেষে রাশেদ উল্লেখ করেন, দলের সবার জন্য শুভেচ্ছা, দোয়া ও ভালোবাসা রইলো...।
এর আগে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টায় দলটির দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানকে দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাশেদ খান গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পদ ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরে তিনি দলটির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর