জীবননগরে পেটজোড়া যমজ শিশুর জন্ম

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৬, ০৬:০৩ পিএম

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পেট জোড়া লাগা যমজ শিশু হাসি-খুশির জন্ম হয়েছে। শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে বুধবার রাতে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে মা সীমা খাতুন (২০) তাদের জন্ম দেন। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে তাদের ভূমিষ্ঠ করাণ। জন্মের পর তারা সুস্থ্য রয়েছেন বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। এদিকে দরিদ্র কৃষক পরিবারে পেট জোড়া যমজ শিশুর জন্ম হওয়ায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন মুকুল-সীমা দম্পতি। তাদের চিকিৎসা করানো নিয়ে দরিদ্র মুদি দোকানি পিতা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মেদিনীপুর গ্রামের বাদল মিয়ার মেয়ে সীমা খাতুনের দুই বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী গয়েশপুর গ্রামের জাহানুল হোসেনের ছেলে মুদি দোকানি মুকুল মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। সীমার প্রসব বেদনা উঠলে বুধবার রাতে তাকে শহরের আদর্শ ক্লিনিক এ্যান্ড নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসক আলট্রাসনোগ্রাম করার পর সীমার গর্ভে যমজ শিশুর অস্তিত্ব দেখতে পান। ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু অস্ত্রপাচার করতে গিয়ে দেখেন কন্যা শিশু দুইটির পেট জোড়া লাগানো। যা তাদের পক্ষে আলাদা করা অসম্ভব। এ অবস্থায় তিনি তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ডাঃ মাহমুদ বিন হেদায়েত সেতু জানান, এমন শিশু জন্মের ঘটনা খুবই বিরল। এ রোগের নাম কনজয়েন্ট টুইন। দুই জনকে আলাদা করতে হলে বিশেষ্ণজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে। যার জন্য বিপুল অংকের অর্থেরও প্রয়োজন। এ জন্য তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ অথবা পিজি হাসপাতালে দ্রুত নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

হাশি-খুশির নানা বাদল মিয়া জানান, পেট জোড়া লাগা যমজ নাতনি জন্মের খবরে তাদের পরিবারে হতাশা নেমে এসেছে। হাসি-খুশি তার মেয়ে-জামাইয়ের প্রথম সন্তান বলে তিনি জানান। বাদল মিয়া জানান, তিনি একজন দরিদ্র কৃষক, অন্যদিকে জামাতা মুকুল ক্ষুদ্র একজন মুদি দোকানি। যমজ হাসি-খুশিকে আলাদা করতে ব্যয় বহুল চিকিৎসার প্রয়োজন বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। যা তাদের পক্ষে বহন করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এ জন্য তিনি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।



বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: