চলমান সিরিজে টাইগারদের সামনে যত রেকর্ডের হাতছানি

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৬, ১০:০৮ পিএম

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট: দীর্ঘ লম্বা বিরতির পর ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে আজ মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাট করছে সফরকারীরা। আজ চট্টগ্রামের জহুর আহম্মেদ স্টেডিয়ামে সকাল ১০ শুরু হয় ম্যাচটি। আজকের ম্যাচে তিন তরুণ ক্রিকেটার অভিষেক হয়।

চলতি টেস্ট সিরিজে টাইগারদের একাদশের ক্রিকেটারদের ব্যাক্তিগত মাইলফলক স্পর্শ করার সুযোগ রয়েছে। ছোট বড় অনেক রেকর্ডের সামরে দাড়িয়ে আছে তাদের সামনে। পুরো সিরিজে এই মাইলফলক গুলো স্পর্শের হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাদের। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

তামিম ইকবাল: তামিম ইকবালের ব্যাটিং এভারেজ ৩৯.৪৬, তার এ গড় এভারেজ ৪০.০০ এ নিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে চলমান এই টেস্ট সিরিজে। এছাড়াও টেস্টে এখন পর্যন্ত তার মোট রান ৩১১৮। দুই টেস্ট মিলিয়ে ৩৮২ রান করতে তার মোট রান গিয়ে দাড়াবে ৩৫০০ ।

আরো কিছু মজার রেকর্ড আছে তামিমের সামনে। তিনি তার টেস্ট ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৫৬২৮ বল মোকাবেলা করেছেন। আর মাত্র ৩৭২ বল খেললেই তার মোকাবেলা কৃত বলের সংখ্যা দাড়াবে ৬০০০ ।

এছাড়াও তার ব্যাট থেকে বাউন্ডারি আসছে ৩৮৮। আর মাত্র ১২ টি চার মারলে ৪০০তে গিয়ে ঠেকবে তার বাউন্ডারির পরিমান। অপরদিকে ওভার বাউন্ডারির সংখ্যা ২৭। ৩০টা পূর্ণ করতে প্রয়োজন মাত্র ৩টি ছয়। টেস্টে তার অর্ধশতক ১৮ টি, আর ২টি অর্ধশতকের দেখা পেলেই ২০টি টেস্ট অর্ধশতকের রেকর্ড হবে তার।

ইমরুল কায়েস: টেস্টে ইমরুলের রানের সংখ্যা ১২৫২। দুই টেস্টের ৪ ইনিংসে আর ২৪৮ রান করলেই ১৫০০ রানের ঘরে চলে যাবেন তিনি এছাড়াও ব্যাট হাতে ২৬৪৮ বল মোকাবেলা করেছেন ইমরুল। এ ক্ষেত্রে আর ৩৫২ বল খেললেই ৩০০০ বল মোকাবেলা খেলা হবে তার। এছাড়াও তার চারের সংখ্য ১৭৩, দুই টেস্টে মাত্র ২৭ বাউন্ডারি হলেই ২০০ টেস্ট বাউন্ডারির মালিক হবেন ইমরুল।

মমিনুল হক: টেস্টে ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসাধারন খেলে আসছেন মমিনুল। এখণ পর্যন্ত ২৬ টস্টে খেলে তার সংগ্রহ ১৪৫৬। পুরো সিরিজে মাত্র ৪৪ রান করলেই টেস্টে ১৫০০ রানের মালিক হবেন তিনি । টেস্টে তার বলের সংখ্য ২৬৫৫। আর ৩৪৫টি বলে মোকাবেলা করলেই ৩০০০ বল খেলা হয়ে যাবে তার। টেস্টে এই লিটল মাস্টারের সেঞ্চুরির সংখ্য ৪, আর ১ টি সেঞ্চুরী করলেই ৫টি শতকেরও মালিক হবেন তিনি। এছাড়াও অর্ধশতক ৯। ১০ টির ঘরে যেতে প্রয়োজন মাত্র একটি অর্ধশতক । বাউন্ডারির সংখ্যা ১৭২, আর ২৮ হলেই ২০০ টি বাউন্ডারি হবে মুমিনুল হকের ।

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ: রিয়াদ টেস্ট ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ২৯৩২টি বল মোকাবেলা করেছেন, আর মাত্র ৬৮ টি বল খেললেই ৩০০০ বল মোকাবেলা করা হবে তার। অপরদিকে ২০০ বাউন্ডারির জন্য তার প্রয়োজন আর মাত্র ২১ টি বাউন্ডারির। টেস্টে তার চারের সংখ্যা ১৭৯। মজার বিষয় আর ৫১ বল করলেই বল হাতে ৩০০০ বল করার রেকর্ডটাও হয়ে যাবে তার।

সাকিব আল হাসান: দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে টেস্টে ৩০০০ রানের ঘর স্পর্শ করতে আর মাত্র ১৭৭ রান দূরে সাকিব আল হাসান। বর্তমানে টেস্টে তার রানের সংখ্যা ২৮২৩। ব্যাটিং এভারেজ ৩৯.৭৬। এই সিরিজেই ৪০.০০ এ নেওয়া সম্ভব। বর্তমান তার এভারেজ তামিমের চেয়ে বেশী।

অপরদিকে ৫০০০ বলের মাইলফলকও সাকিবের সামনে। চার ইনিংসে ৩৮৩ বল মোকাবেলা করলেই ৫০০০ বল মোকাবেলা করা হয়ে যাবে তার। টেস্টে সাকিবের অর্ধশতক ১৯টি , আর একটি অর্ধশতক করলেই ২০ টি অর্ধশতক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের।

এছাড়া্ও ব্যাট হাত তার বাউন্ডারি ৩৪৮, চলমান সিরিজে ৫২ টি চার মারতে পারলেই ৪০০টি টেস্ট বাউন্ডারির মালিকও হবেন তিনি। তবে ওভার বাউন্ডারির সংখ্যা খুবই কম সাকিবের। ২০টি ওভারবাউন্ডারির পূরন করতে তাকে হাকাতে হবে আরো ৩টি ছয়।

বল হাতে সাকিব এখণ পর্যন্ত ৯৭৮২টি বল ডেলিভারি দিয়েছেন (আজকের ওভার গুলো ছাড়া)। ১০,০০০ এর মাইলফলক স্পর্শ করতে তার প্রয়োজন ২১৮টি বল।

এছাড়াও তিনি তার টেস্ট ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত খরচ করেছেন ৪৮৯৭ রান, আর ১০৩ রান দিলেই সর্বমোট ৫০০০ রান দেওয়া হবে তার। অপরদিকে সাকিবের টেস্ট উইকেটের সংখ্য ১৪৭, আর তিনটি উইকেট পেলেই প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ১৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড হবে এই বিশ্বসেরা রাউন্ডারের।

সাকিব ইংনিসে ৫ উইকেট করে নিয়েছেন ১৪ বার, আর ৫ উইকেট ইনিংসে খেললেই ১৫ বার ৫ উইকেট বিলর রেকর্ডও হবে তার।

মুশফিকুর রহিম: তিনি টেস্ট দলের অধিনায়ক। এখন পর্যন্ত খেলেছেন ম্যাচ ৪৮। চলমান এই সিরিজের দুইটি ম্যাচই খেললে তার টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা হবে ৫০ টি। অপরদিকে টেস্টে তার মোটরানের সংখ্যা ২৬৫০। যদি তিনি ৩৫০ রান সংগ্রহ করতে পারেন তালে ৩০০০ রানের মালিক হবেন এই টাইগার অধিনায়ক।

মুশফিক তার টেস্ট ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৫৭০১ বল মোকাবেলা করেছেন। আর ২৯৯ টি বল খেললেই ৬০০০ বল মোকাবেলা করা হবে তার। এছাড়াও তার বাউন্ডারির সংখ্যা ৩৩৫টি, চলমান সিরিজের ৪ ইনিংসে যদি ৬৫ চার মারতে পারে তবে ৪০০টি বাউন্ডারির মালিক হবেন মুশফিক।

তাইজুল ইসলাম: স্পিনার তাইজুল ইসলাম এখন পর্যন্ত ২২৪৯ বল ডেলিভারি দিয়েছেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারে (আজকের বল গুলো ছাড়া)। আর মাত্র ২৫১টি বল ডেলিভারি দিলৈই ২৫০০ বল করা হবে তার। অপরদিকে ২৭৮ রান দিলেই ১৫০০ রান খরচ করা হবে তার টেস্ট ক্যারিয়ারে। এছাড়াও এক ইনিংসে ৩৯ রান দিয়ে ৮ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড আছে তার।

শফিউল ইসলাম: অনেক দিন পর টেস্ট দলে ফিরেছেন শফিউল। টেস্টে তার বল ডেলিভারির সংখ্যা ১৩৯৮, আর ১০২ টি বল করলেই ১৫০০ বল করা হবে। তবে আজকের ম্যাচে প্রায় কাছাকাছি চলে আসছেন তিনি। এছাড়াও ২৪২ রান দিলেই ১০০০ খরচ করা হবে শফিউলের।

এছাড়াও আজকের একাদশের তিন জনের অভিষেক হয়েছে। তারা হলেন সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং কামরুল ইসলাম রাব্বির। আজ থেকে তারা যা করবে তাই হবে তাদের ব্যাক্তিগত মাইলফলক।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: