‘আমরা আর কোন শিক্ষার্থীর লাশ দেখতে চাই না ‘

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৬, ১০:৩৫ পিএম

বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিচারহীনতার সংস্কৃতি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একের পর এক হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় লাশের মিছিল দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর যেন কোন মায়ের বুক খালি না হয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোন শিক্ষার্থীর এমন লাশ দেখতে চাই না’।শনিবার সকাল ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপুর নৃশংস হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে বক্তরা এসব কথা বলেন ।

মানববন্ধন শেষে বিভাগের সামনে থেকে একটি শোক র‌্যালি বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিভাগের সামনে এসে শেষ হয়।
এ সময় বক্তরা আরও বলেন, যখন কোন হত্যাকান্ড ঘটে সেটার সুষ্ঠু বিচার না করে আমরা সেটাকে নানা ভাবে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করি। লিপু হত্যার সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে এটাই যেন শেষ হত্যাকান্ড হয়। কোন পিতার স্বপ্ন যেন দু:স্বপ্নে পরিণত না হয়! বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশ ও আনসার নিযুক্ত করা সত্ত্বেও আজ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীন।
একটি হত্যা হয় কিছুদিন পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় কিন্তু দু:খের বিষয় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আর প্রকাশ করা হয় না ! প্রত্যেকটি হত্যার পিছনে উচ্চপর্যায়ের কিছু মানুষের সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে কোন হত্যার সুষ্ঠু বিচার হয় না।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে, সহযোগী অধ্যাপক মো. মশিহুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক মো. শাতিল সিরাজ, প্রভাষক মো. আব্দুল্লাহীল বাকীসহ বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ।
এদিকে একই দাবিতে সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ঝিনাইদহ জেলা সমিতির পক্ষ থেকে একই দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ডাইনিংয়ের পাশে ড্রেন থেকে গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপুর লাশ উদ্ধার করা হয় ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: