বৃষ্টি কাকে বলে, জানেই না ওঁরা

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০১৬, ০৫:১২ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বর্ষাকাল বলে যে একটা ঋতু আছে, তা ওঁরা বইয়ে পড়েছেন। কখনও চোখে দেখেননি। ইজিপ্টোলজিস্ট মীনা (৩৫) কিংবা মিশর পর্যটন দফতরের কর্মী আবদুল্লা (৪০) জীবনে কোনও দিন বৃষ্টি দেখেননি। বছর পঞ্চাশের আরাফত ছোটবেলায় একবার বৃষ্টি হচ্ছে বলে শুনেছিলেন। কিন্তু দরজা খুলে বারান্দায় এসে দেখেছিলেন কোথায় কী! বালি সব শুষে নিয়েছে। রাস্তাঘাট খটখটে।

এমনটা আবার হয় নাকি?

হয়। মিশরের দক্ষিণ প্রান্তীয় শহর আসোয়ান এমনই এক জনপদ যেখানে বৃষ্টি অতি দুর্লভ বস্তু। শহর ঢুঁড়ে এমন এক জনকেও মিলবে না যিনি বৃষ্টি দেখেছেন। মীনার কথায়, ‘আমাদের এখানে চারটি ঋতু। গ্রীষ্ম, শরৎ, শীত আর বসন্ত।’

এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর- এই ছয় মাস পৃথিবীর ও-তল্লাটে গ্রীষ্ম। তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। আমাদের দেশে যখন প্রবল বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা হয়ে গিয়েছে, তখন পৃথিবীর ও প্রান্তে এক ফোঁটা পানি নষ্ট করাটা অপরাধ। আসোয়ান শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে নীল নদ। সেটাই সেখানে পানির একমাত্র উৎস।

সারা বছরে আসোয়ানে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত? সরকারি নথি বলছে ০.১ মিলিমিটার।

কেন এমন অনাবৃষ্টি? আবহবিজ্ঞানীরা বলছেন, বৃষ্টির উৎস হল মেঘ। আকাশে যদি মেঘই না জমে, বৃষ্টি হয় না। মেঘ তৈরির একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। তাপমাত্রা যত বাড়ে, ততই বাতাস গরম হতে থাকে। হাল্কা গরম বাতাস উপরের দিকে উঠে যায়। উপরে উঠতে উঠতে সেই বাতাসের স্তর ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে এসে ঘন হতে শুরু করে। তৈরি হয় মেঘ। সেই মেঘ ভেঙেই বৃষ্টি হয়। কিন্তু মরুভূমি এলাকায় গরম বাতাস উপরে ওঠার আগেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ফলে তারা কখনওই বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আসতে পারে না। ফলে মেঘও তৈরি হয় না।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: