বাঁচার জন্য ‘ইঁদুর খেয়েছেন’ সোমালিয়ায় বন্দী নাবিকরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রায় পাঁচ বছর আগে সোমালিয়ায় জলদস্যুদের দ্বারা অপহৃত এক দল নাবিক সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন। জলদস্যুদের কাছ থেকে উদ্ধার পাওয়া একজন নাবিক বিবিসিকে জানিয়েছেন, প্রাণে বাঁচার জন্য তারা কখনও কখনও ইঁদুরও খেয়েছেন।
ফিলিপাইনের নাবিক আরনেল বালবেরো বলেছেন, বন্দী অবস্থায় তাদের খুব সামান্য খাবার দেওয়া হতো। দিনশেষে তাঁদের মনে হতো, মৃত্যুর সঙ্গে বসবাস করছেন তারা।
২০১২ সালে একটি জাহাজের ২৬ জন নাবিককে জিম্মি করে সোমালিয়ায় নিয়ে যায় জলদস্যুরা। এই নাবিকেরা ছিলেন বিভিন্ন দেশের নাগরিক। প্রায় পাঁচ বছর বন্দী থাকার পর মুক্তিপণ নিয়ে শনিবার তাদের ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যুরা।
জলদস্যুদের হাতে বন্দী নাবিকেরা ছিলেন চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের নাগরিক।
জিম্মি হওয়া নাবিকদের মধ্যে একজন ছিলেন আরনেল বালবেরো। সেচিলিসের দক্ষিণ থেকে জাহাজসহ তাদের জিম্মি করে সোমালিয়ার জলসদ্যুরা। ওই সময় একজন ক্রু নিহত হন।
জলদস্যুরা নাবিকদের জিম্মি করার এক বছর পর জাহাজটি ডুবে যায় এবং নাবিকদের সোমালিয়ার কূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময়ে দুজন নাবিক অসুস্থ হয়ে মারা যান।
মি: বালবেরো জানিয়েছেন, জলদস্যুরা তাদের খুবই কম খাবার দিত। যে কারণে তারা ইঁদুর খেতেন। জঙ্গলে ইঁদুর রান্না করে খেতে হতো তাদের।
বিবিসিকে তিনি বলেন, 'আমরা যা পেতাম তাই খেতাম। ক্ষুধা পেলে আপনিও হাতের কাছে যা পাবেন তাই খাবেন।' মি: বালবেরো তার পাঁচ বছরের বন্দী জীবনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
বিবিসিকে বলেছেন বনে-জঙ্গলে বেঁচে থাকার ভয়ঙ্করা অভিজ্ঞতা তাকে প্রতিনিয়ত কষ্ট দিচ্ছে। মুক্ত হয়েও এখন তিনি ভাবছেন স্বাভাবিক জীবনে তিনি কবে ফিরতে পারবেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: