ঝিনাইদহে 'ক্রসফায়ারে' নিহতদের পরিচয় মিলেছে

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০১৬, ১২:৩৬ এএম

নিউজ ডেস্ক: ঝিনাইদহ শহরের বাইপাস সড়কে পুলিশের সাথে 'ক্রসফায়ারে' নিহত দুইজনের পরিচয় মিলেছে। তাদের একজনের নাম জহুরল ইসলাম টিটোন (৩৫)। তিনি শহর জামায়াতের আমির। অপরজনের নাম তারিক হাসান সজিব (৩০)।

নিহত তারিক হাসান আরাপপুরের আব্দুল লতিফের (মৃত) ছেলে। অন্যদিকে কালীগঞ্জের আগমুন্দিয়া কলেজের প্রভাষক ও ঝিনাইদহ শহর জামায়াতের আমির জহুরুল ইসলাম টিটোন ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কলোনির বাসিন্দা সমসের আলী মোল্লার ছেলে।

নিহতের স্বজনেরা দাবি করেছেন- জহুরল ইসলামকে গত ৭ সেপ্টেম্বর ও তারিক হাসানকে ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, শহরের বাস টার্মিনালমুখী বাইপাস সড়করে হামদহ প্রান্ত থেকে ৩টি মটর সাইকেলে কয়েকজন সন্ত্রাসী বাস টার্মিনালের দিকে আসছিল। এ সময় বাইপাস সংলগ্ন ভুটিয়ারগাতীর শহীদ নজির উদ্দীন সড়কের মাথায় মটর সাইকেল ৩টিকে পুলিশের টহল দল থামানোর সংকেত দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে হাত বোমা নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে ২টি মটর সাইকেলে তাদের কয়েকজন পালিয়ে যায়। পুলিশ সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার ভোরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি মটর সাইকেল ২টি ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ৫টি হাতবোমা ও ২টি চাপাতি উদ্ধার করেছে।

নিহত সজিবের শ্যালক মুসা জানান- তার ভগ্নিপতি কোনো দলের সাথে জড়িত ছিলেন না। তিনি সিরাজগঞ্জে নিজস্ব ব্যবসায় শুরু করেন। মুসা অভিযোগ করেন, গত ঈদুল আজহার দিন সন্ধ্যায় পুলিশ পরিচয়ে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় তারা একটি জিডিও করেছেন। সজিবের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ নেই।

তবে পুলিশের দাবি সজিব ঢাকা দক্ষিণ শিবিরের 'উপদেষ্টা কমিটির সদস্য' ছিল। অবশ্য শিবিরের এ ধরনের কোনো কমিটি নেই বলে জানিয়েছে সংগঠনটির বিভিন্ন সূত্র।

এদিকে জহুরুল ইসলামের বাবা সমসের আলী মোল্লা জানান, তার ছেলে গত ৭ সেপ্টম্বর ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে ফেরার পথে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকেই জহুরুল ইসলাম নিখোঁজ ছিলেন। জহুরুল ইসলাম ছাত্র জীবনে শিবিরের ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি ও পরবর্তীতে জামায়াতের ঝিনাইদহ শহর শাখার আমিরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন তিনি। নয়া দিগন্ত

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: