কারাগারে আসা-যাওয়ার মধ্যেই বিএনপির বেশিরভাগ নেতা

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০১৬, ০২:৪১ পিএম

ঢাকা: কারাগারে আসা-যাওয়ার মধ্যেই রাজনীতির বেশিরভাগ সময় পার করছেন বিএনপির বেশিরভাগ নেতা। পাশাপাশি দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদেরকেও নিয়মিত কারাগারে-আসা যাওয়া করতে হয়। বিএনপির বর্তমানে ৮জন কেন্দ্রীয় নেতা বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।

সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু, গাজীপুরের মেয়র আব্দুল মান্নান, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউস, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী সোহেল, কেন্দ্রীয়নেতা আসলাম চৌধুরী ও লুৎফুজ্জামান বাবর কারাগারে আছেন। সর্বশেষ গত ২১ অক্টোবর ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল কবির পল গ্রেফতার হয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভারতে গ্রেফতার আছেন। গত বছরের মে মাসে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে তার সন্ধান পাওয়া যায়। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে শিলং পুলিশের মামলা বিচারাধীন থাকায় তিনি দেশে আসতে পারছেন না।

২০১৪ সালের প্রথম দিকে চিকিৎসার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এখনও দেশে ফেরেননি।

এদিকে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ গ্রেফতার নেই। তবে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট জানিয়েছেন, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনেক নেতাকর্মীই এখনও গ্রেফতার হয়ে কারাগারে বন্দি আছেন।

কারাগারে যাতায়াত করতে হওয়ায় মুক্তি পাওয়া শতাধিক নেতাকর্মী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এড়িয়ে চলছেন। কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই মামলা চলমান। এরই মধ্যে বেশিরভাগ নেতাই আদালতে হাজিরা দিতে হয় নিয়মিত।

বিএনপির দফতর সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির মহাসচিব ফখরুলের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৬ টি মামলা আছে। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে ৮৩টি, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ৫৩, মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে ২৩ ও সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা হয়েছে। দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ও কেন্দ্রীয় বেশির ভাগ নেতার বিরুদ্ধেও নাশকতার মামলা রয়েছে। বিএনপি ছেড়ে যাওয়া শমসের মবিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৬ মামলা আছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: