নালিতাবাড়ীতে খ্রীষ্টধর্মাবলাম্বীদের ১৯তম তীর্থোৎসব শুরু

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০১৬, ১১:০৫ পিএম

শেরপুরের সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি গ্রাম বারমারী সাধু লিওর খ্রীষ্টান ধর্মপল্লীতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী তীর্থোৎসব। প্রায় ২৫ হাজার খ্রীষ্টভক্তের অংশগ্রহণে ‘দয়ার মাতা মারিয়া’ এই মুল সুরের উপর ভিত্তি করে আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত চলবে খ্রীষ্টানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ ধর্মীয় এ উৎসব।বৃহস্পতিবার বিকেলে পুর্নমিলন ও পাপ স্বীকার দিয়ে শুরু হওয়া এ উৎসবের অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনার মধ্যে রয়েছে- পবিত্র মহা-খ্রীষ্টযাগ, আলোক শোভাযাত্রা, গীতি আলেখ্য, সাক্রামেন্তের আরাধনা, নিরাময় অনুষ্ঠান এবং নিশি জাগরণ ইতাদি। পরদিন শুক্রবার সকালে জীবন্ত ক্রুশের পথ ও পরে মহা-খ্রীষ্টযাগের মাধ্যমে তীর্থোৎসবের সমাপ্তি হবে।

ঢাকা খ্রীষ্টধর্ম প্রদেশের অবসরপ্রাপ্ত বিশপ থিওটোনিয়াস গমেজ এবারের তীর্থোৎসবের উদ্ভোধনী খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন। সমাপনী খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ময়মনসিংহ খ্রীষ্টধর্ম প্রদেশের ধর্মপাল বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি।

ধর্মপল্লীর সূত্রমতে, খ্রীষ্টভক্তদের দাবীর প্রেক্ষিতে ১৯৯৮ সালে পর্তূগালের ফাতেমা নগরীর আদলে ও অনুকরণে পাহাড় ঘেরা মনোরম পরিবেশে এ তীর্থ স্থানটিকে নির্বাচন করা হয়। ময়মনসিংহ ধর্ম প্রদেশের তৎকালীন প্রয়াত বিশপ ফ্রান্সিস এ. গমেজ বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে ফাতেমা রাণীর তীর্থ স্থান হিসেবে ঘোষনা করেন। সেই থেকে প্রতিবছর ধর্মীয় চেতনায় দেশি-বিদেশি হাজার হাজার খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে বার্ষিক তীর্থোৎসব পালিত হয় এখানে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, তীর্থযাত্রীদের জন্য এ বছর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। র‌্যাবের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, দমকল বাহিনী, আনসার, ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক দল সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া তীর্থযাত্রীদের অধিক নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপুর্ণ স্থানগুলোতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
এদিকে খীষ্টানদের এ উৎসবকে ঘিরে আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ। বসেছে বাহারী পণ্যের মেলা। খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি দর্শনার্থী হিসেবে অনান্য ধর্মাবলম্বীরাও ভির করছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: