মুক্তিযোদ্ধার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ভিডিও ফুটেজ নিয়ে তোলপাড়!

প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০১৬, ০৬:১০ এএম

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলার সিসি টিভি ফুটেজ নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ফেইসবুকে পোস্ট করা ওই সিসি টিভি ভিডিও ফুটেজ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। শত শত মন্তব্য আর শেয়ারে ছেয়ে গেছে গোটা ফেইসবুক পেজ।

গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনে অবস্থিত জাকির মেডিকেল ফার্মেসীর সামনে বসে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আবাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার আহমেদ মৃধা। এসময় হঠাৎ করে একদল সন্ত্রাসী লোহার রড, হাতুড়ি, চাপাতি ও লাঠিসোটা নিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা করে। পার্শ্ববতী দোকানে বসা তারই ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ এগিয়ে এলে তাকেও বেধড়ক মারপিট করা হয়। হামলার ঘটনাটি জাকির মেডিকেল ফার্মেসীর সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।

এ ঘটনায় মুক্তার আহমেদ মৃধার বড় ছেলে সুমন মৃধা বাদী হয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পর আসামীদের বিচারের দাবিতে শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করে। এ ঘটনা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ পায়।

আসামিরা বর্তমানে আদালত থেকে জামিন পেয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে মামলার বাদী সুমন মৃধা জানিয়েছেন। তার দাবি উপজেলা চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী এই হামলার সাথে জড়িত ছিলো।

এদিকে সিসি টিভির ওই ফুটেজ ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ধিক্কার জানিয়ে ও হামলাকারীদের বিচারের দাবি তুলে ফেইসবুকে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে চলেছেন হাজার হাজার মানুষ।

সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে আহত মুক্তার আহমেদ মৃধা ও তার ছেলে গোলাম মোর্শেদ বর্তমানে ঢাকা বিডিএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: