ভারতের সঙ্গে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৬, ০২:৩৪ পিএম

নিউজ ডেস্ক:আসন্ন সফরে ভারতের সঙ্গে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারর এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।

ডিসেম্বরে এই সফর হওয়ার কথা থাকলেও দুই প্রধানমন্ত্রীর ‘ব্যস্ততা এবং আনুষাঙ্গিক প্রস্তুতির অভাবে’ তা স্থগিত হয়ে যায় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

হাসিনার ভারত সফর ফলপ্রসূ হওয়ার আশা’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ-ভারত কিন্তু নতুন বছরের রাস্তাকে আরও মসৃণ করতে তৎপর। সম্পর্কে এক সুতো ব্যবধানও থাকবে না।
এতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বছরে দিল্লি সফর করবেন। কথা হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সব বিষয়ে সমাধান সুনিশ্চিত করার অঙ্গীকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তিস্তা চুক্তি ঝুলে আছে অনেক দিন। শেখ হাসিনা দ্রুত নিষ্পত্তি চাইছেন। ভারতের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সঞ্জীব কুমার বালিয়ান লোকসভায় জানিয়েছেন, তিস্তা চুক্তি রূপায়ণের বিষয়ে ভারত সরকার উদ্যোগী। সব পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান সূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ অসুস্থ। কয়েক দিন আগেই তিনি জানিয়েছেন, তিস্তা নিয়ে বাংলাদেশ, ভারত ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঐকমত্যে পৌঁছানো জরুরি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চান।

তবে শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘পশ্চিমবঙ্গ চাইছে- উত্তরবঙ্গে পানির নিশ্চয়তা দিয়ে যেন তিস্তা চুক্তি করা হয়। চুক্তিতে কারা কতটা পানি পাবে তা নিয়ে ভাবনা চলছে। বাংলাদেশ-ভারত আলোচনায় তার মীমাংসা হওয়ার আশা।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ-ত্রিপুরার মধ্যে বয়ে যাওয়া মুহুরী নদী নিয়ে সমস্যা আছে। ত্রিপুরার দিকে চর জাগায় নদীটি বাঁক নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। চরের মালিকানা দাবি করছে বাংলাদেশ। ভারত বলছে, চর নয়, শুধু পানি বাংলাদেশের অধিকার। দ্বিমতকে একমতে আনাটাই এখন দুদেশের লক্ষ্য। আন্তরিক আলোচনায় তার বিহিত হওয়ার সম্ভাবনা।

প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দিল্লিতে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন হাসিনা। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফর করেছেন। চট্টগ্রামে সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন তিনি।

এতে বলা হয়, শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কথা বলেছেন। ৩০ মিনিটের কথাবার্তায় সন্ত্রাস দমনে দ্বিপাক্ষিক সমন্বয় বাড়ানোর সিদ্ধাস্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। সন্ত্রাসের শেষ দেখতে চান তিনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: