‌‌‘নারায়নগঞ্জে অস্ত্রধারীরা নীরবে অবস্থান করছে’

প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৭:২৫ পিএম

ঢাকা: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তাদের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচনের ইতিহাস নেই। তাদের উত্তরসূরীরা এখনও সেই ঐতিহ্য বহন করে চলছে। বাকশালের পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে বর্তমানে যে ভয়াবহ দু:শাসন চলছে নাসিক নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে রায় দিতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ বলে দাবি করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র চার দিন বাকী। সংকুচিত গণতন্ত্রের পরিসর বাড়ানোর জন্যইনাসিক নির্বাচনে বিএনপি’র অংশগ্রহণ। নারায়ণগঞ্জবাসী ভোটারবিহীন সরকারের ধারাবাহিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ও মানুষেরভোটাধিকার হরণের জবাব দিতে প্রস্তুত হয়ে আছে।

তিনি বলেন, কোন কালেই আওয়ামী লীগের সুষ্ঠু নির্বাচনের ইতিহাস ঐতিহ্য নেই। ওই ঐতিহ্য তাদের উত্তরসূরীরাও এখনো বহন করেচলছে। ৭৫’এর একদলীয় বাকশালের পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে বর্তমানে যে ভয়াবহ দুঃশাসন, দেশজুড়ে লুটপাটের মহৌৎসব, রাজকোষলোপাটসহ বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ, গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ, কথা বলতে গেলেই মলা-হামলা-কারানির্যাতন,নির্যাতন-নিপীড়ণ,গুম,খুন,অপহরণ, ধর্ষণ চলছে তার বিরুদ্ধে রায় দিতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ।

দেশের আইন-শৃঙ্খলার কথা বর্ণনা করে তিনি বলেন, দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে এতই নাজুক যে ঘরে-বাইরে কোননাগরিকের এখন কোন ন্যুনতম নিরাপত্তা নেই। মা-বোনরা পর্যন্ত এখন ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। বিনা বিচারে হত্যার সংস্কৃতিচালু রেখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার প্রয়াসে দেশজুড়ে এখন যে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড চলছে, তা নিয়ে যুবসমাজের মধ্যে ব্যাপক ভীতিছড়িয়ে পড়েছে। হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিরোধী দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ণের জবাব মিলবেআগামী নাসিক নির্বাচনে।

রিজভী অভিযোগ করেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় ভোটাররা এখনও শঙ্কামুক্ত হতে পারছে না। কারণনির্বাচনী এলাকায় অস্ত্রধারীরা নীরবে অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুনের মামলার বাদীকে হত্যারহুমকি দেয়া হয়েছে। আমরা এর আগেও বৈধ অস্ত্র জমা এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনতৎপরতা নেই। সুতরাং নাসিক নির্বাচন কতটা অবাধ ও সুষ্ঠু হবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

রিজভী বলেন, আমরা আবারো দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই-এই নির্বাচন কমিশন তাদের অধীনে রক্তপাতের নির্বাচনের ন্যায় আগামী ২২ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নাসিক নির্বাচন আলোহীন, ভোটহীন, ভোটারশুন্য ও অন্ধকারতুল্য প্রবণতার নির্বাচন সফল করার তৎপরতা চালালেসেটি প্রতিহত করার জন্য জনগণ দিবানিশি প্রস্তুত থাকবে।

কমিশনের মূঢ়তার আত্মঘাতি কর্মকান্ডের উপযুক্ত জবাব পেতে কমিশনকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার ভোট ডাকাতি ও কারচুপির আশ্রয় নিতে গেলে সেসময় কমিশন নিস্ক্রিয়, নিদ্রামগ্ন ও সরকারের স্বার্থরক্ষায় তৎপর থাকলে সেটির প্রতিক্রিয়ার জন্যও নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

এসময় বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: