ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে কফি

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৪, ১০:৪৩ পিএম

দিনে চার কাপ পর্যন্ত কফি পান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে শতকরা ২৫ শতাংশ।

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে সুইজারল্যান্ডের ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্টিফিক ইনফরমেশন অন কফি তাদের বার্ষিক ডায়াবেটিস প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।

তাদের গবেষণায় তুলে ধরা হয়েছে স্বাস্থ্যের জন্য ক্যাফিনের উপকারিতা।

গবেষণায় দেখা গেছে, সবচেয়ে ভাল সময় হচ্ছে মধ্যাহ্নভোজের সময় এক কাপ ক্যাফেইনমুক্ত ফিল্টার কফি পান। এতে ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

আরো অতিরিক্ত এক কাপ কফি পানে ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি সাত থেকে আট শতাংশ থেকে হ্রাস করে।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, পরিমিত মাত্রায় কফি পানে ক্যান্সার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা স্ট্রোক বেড়ে যাবার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি করে না।

অন্য এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, এক দিনে দুই কাপের কম কফি পানের তুলনায় তিন থেকে চার কাপ কফি পান ডায়াবেটিস বাড়ার ঝুঁকি কমাতে পারে এক চতুর্থাংশ।

গবেষণায় সুপারিশ করা হয়েছে যে, নিয়মিত কফি পান গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়ায় স্বতন্ত্র ভূমিকা পালন করতে পারে।

প্রায় ৭০ হাজার ফরাসি নারীকে নিয়ে এক গবেষণায় দেখা গেছে কফি পান, বিশেষকরে মধ্যাহ্নভোজের সময় কফি পানে ডায়াবেটিস রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়।

বিশ্বব্যাপী ৩৮ কোটির অধিক মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত।

বাংলাদেশে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

বর্তমানে ডায়াবেটিস একটি উল্লেখযোগ্য বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।

প্রতিবেদনটির ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, নিয়মিত সংযমী মাত্রায় কফি গ্রহণ একজন ব্যক্তির টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে যে কফি পান ডায়াবেটিকে আক্রান্ত জনগোষ্ঠির মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে না। এছাড়াও এটি উচ্চ রক্তচাপ বা স্ট্রোক এবং হৃদরোগেরও ঝুঁকি হ্রাস করে।

তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। গবেষণায় পাওয়া তথ্যে সুপারিশ করা হয়েছে, সুস্থ দেহের লোকের পাশাপাশি ডায়াবেটিক আক্রান্ত লোকেরা নিরাপদে সংযত মাত্রায় কফি উপভোগ করতে পারেন। এমনকি এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও সহায়ক হতে পারে।

তবে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ নতুন রিপোর্ট সত্ত্বেও সতর্ক করেছেন যে, কফি পান সক্রিয়ভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় না।

তারা বলেন, টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সবচেয়ে ভাল উপায় হল শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা।

তারা সুপারিশ করেন, কম চর্বি, লবণ ও চিনিযুক্ত সুষম খাদ্যাভ্যাসই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: