২০১৬ সালে দীর্ঘ চুম্বনের রেকর্ড

প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারি ২০১৭, ০৪:৩৫ এএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০১৬ সালে আফ্রিকার অনেক ঘটনা খবরে এসেছে, অভিবাসন ও হত্যাকাণ্ডসহ কিছু ঘটনা শিরোনামও হয়ে এসেছে। কিন্তু এমন কিছু ঘটনা আছে যা হয়তো অনেকের নজর এড়িয়ে গেছে।

নাইজেরিয়ান সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আদাওবি ট্রিসিয়া নওবানি সে ঘটনাগুলো তুলে এনেছেন।

দীর্ঘ চুম্বন
জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের অন্যতম সমর্থক এমপি জোসেফ চিনোতিম্বা ২০১৬ সাল শুরু করেছিলেন রোম্যান্সের মাধ্যমে। ৬৬ বছর বয়সী এই মি: চিনোতিম্বা ও তার স্ত্রী ভিম্বাই 'ভ্যালেন্টাইন ডে' উদযাপনের সময় শীর্ষ পুরস্কার জয় করেছিলেন। এরপর তারা দুজন একে অপরকে দীর্ঘ সময়ের চুম্বন দেন যা আফ্রিকান রেকর্ড বুকে নাম লিখিয়েছে।

আট বছরের বিবাহিত জীবনের এই দম্পতি 'দ্য লংগেস্ট কিস ইন আফ্রিকা চ্যালেঞ্জ' জয় করেছেন। প্রায় ১০ মিনিট ১৭ সেকেন্ড ধরে তারা চুম্বন করেছিলেন। এর আগে দীর্ঘ চুম্বনে আফ্রিকান রেকর্ড ছিল ৫মিনিট ১৭ সেকেন্ডের।

জেন্ডার পলিটিক্স
নারী হয়েও কিভাবে বর্ণবাদী ব্যবহার ও জেন্ডার সমতার লড়াইয়ে টিকে থাকা যায় বছরের শেষ দিকে তার উদাহরণ তৈরি করেছেন একজন নাইজেরিয়ান এমপি ওলোরেমি টিনুবু। জুলাই মাসে সিনেটের এক সেশনে দিনো মেলায়ে তার সহকর্মী ওলোরেমি টিনুবুকে মারধোরের হুমকি দিয়েছিলেন এবং তাকে 'গর্ভবতী' করে দেয়ার অশালীন মন্তব্যও করেছিলেন।

তবে মি: মেলায়ে পরে এক বিবৃতিতে বলেছিলেন যে 'টিনুবুকে গর্ভবতী করা সম্ভব নয় কারণ তার মনোপোজ হয়ে গেছে'। দিনো মেলায়ের এমন মন্তব্যে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন অনেকে। আর এ বিবৃতির পর মিস টিনুবু নাইজেরিয়ার এক পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন "জনসম্মুখে যদি মি: মেলায়ে তার কাছে মাফ চান তাহলে তিনি সব কথা ভুলে যাবেন।

জেন্ডার সমতা আনার জন্য ক্যামেরুনের পার্লামেন্ট এক অদ্ভুত আইন পাশ করে গত জুন মাসে। যে আইনে বলা হচ্ছে কোনও পুরুষ পরকীয়ায় আসক্ত হলে এবং এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

এর আগে দেশটির নারীরা বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ালে দুই থেকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতো। শুধুমাত্র নারীদের জন্য এ আইন ছিল।

কিন্তু এখন পুরুষদের জন্য নতুন আইন করা হলো। আইন অনুযায়ী কোন পুরুষ পর নারীর সাথে সম্পর্কে জড়িত এটা প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ছয় বছরের জেল হবে, একইসাথে ১৬০ ডলার পর্যন্ত জরিমানাও গুনতে হবে তাকে।

নেইল পলিশ ভোটার
আফ্রিকায় কোন নারী ভোট দিতে পারবে আর কোন নারী পারবে না তা নিয়ে বিভিন্ন নিয়ম কার্যকর রয়েছে। যদিও এটি মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করে। তবে জাম্বিয়ার নির্বাচনে বিধি জারি করা হয়েছিল নেইল পালিশ পরা নারীদের হাতের নখ পরিস্কার না থাকলে ভোট দিতে পারবেন না।

কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ভোট দেয়ার পর যে কালি লাগানো হয়, নখে নেইল পলিশ থাকার কারণে সেটা ঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় না। যদিও অগাস্ট মাসের নির্বাচনের আগে এর বিপরীত রূপ দেখা যায়। ভোটের কদিন আগে জাম্বিয়ার নির্বাচন কমিশন সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মন্তব্য পোস্ট করে যেখানে বলা হচ্ছে "দেশের নারীরা নেইল পলিশ লাগাবে বা ডিজাইন করা আলাদা নখ লাগাবে সেটা তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছার মধ্যে, গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে"।

লাওসে শব্দ দূষণে নিষেধাজ্ঞা
যে কোনও একটা জায়গায় একদল মানুষ বসে আছে আর যজোরে হাসছে বা কথা বলছে -এ বিষয়গুলো অস্বাভাবিক কিছু নয়,এমনকি কোনও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও এমনটা খুব সাধারণ চিত্র। আর আফ্রিকার জনবহুল দেশগুলোর মানুষও এ ধরনের আচরণে অভ্যস্ত ও সুখী।

কিন্তু গত জুন মাসে লাওসের সরকার শব্দ দূষণের অভিযোগে ৭০টি চার্চ ও ২০টি মসজিদ বন্ধ করে দেয়। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ মুসলমানদের আযান ও চার্চের কার্যক্রম বাণিজ্যিক এলাকায় শব্দ দূষণ তৈরি করছে। আর প্রদেশটিতে যে পরিমাণ চার্চ ও মসজিদ রয়েছে তাতে শব্দ দূষণের কারণে সবগুলো বন্ধ করতে কয়েক বছর লেগে যাবে।বিবিসি বাংলা

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: