ভারতীয় তিন চ্যানেলের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ! 

প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারি ২০১৭, ০৪:৩৫ এএম

ভারতীয় তিন চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলার বাংলাদেশে সম্প্রচারের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুলের শুনানি গতকাল চতুর্থ দিনের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৯শে জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হচ্ছে।

গতকাল রুলের শুনানিতে আইনি লড়াইয়ের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করেছে ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা চ্যানেলগুলোর বাংলাদেশে প্রদর্শনকারী প্রতিষ্ঠান। স্টার জলসা ও স্টার প্লাসের পক্ষে তাদের এদেশিয় প্রদর্শনকারী প্রতিষ্ঠান ডিজি যাদু ব্রডব্যান্ড লিমিটেড সিনিয়র আইনজীবী আবদুল মতিন খসরুকে এবং জি বাংলার এদেশিয় প্রদর্শনকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশন ওয়াইড মিডিয়া লিমিটেড ব্যারিস্টার সামসুল হাসানকে আইনি লড়াইয়ের জন্য নিয়োগ দেয়।

এর আগে গত ৮, ৯ ও ১০ই জানুয়ারি হাইকোর্টের ওই বেঞ্চে রিটের পক্ষে তিন কার্যদিবসে শুনানি করেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। গতকালও তিনি শুনানিতে অংশ নেন। পরে তিন ভারতীয় চ্যানেলের পক্ষে শুনানি করেন আবদুল মতিন খসরু ও সামসুল হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

রিটকারীর আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া মানবজমিনকে বলেন, ২০০৬ সালের ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনের ১৯ ধারা অনুযায়ী কোনো চ্যানেল ওই আইনের পরিপন্থি কোনো কার্যক্রম করতে পারবে না। যদি করে তাহলে সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের সম্প্রচার তথ্য মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে সম্প্রচার বন্ধ করতে পারে। তিনি বলেন, বিবাদীপক্ষ আদালতে দাবি করেছে তারা লাইসেন্স নিয়ে বৈধভাবে এদেশে চ্যানেলের সম্প্রচার কার্যক্রম চালাচ্ছে। কিন্তু ভারতের ওই তিন চ্যানেল আইনের লঙ্ঘন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করে চলেছে। বিষয়টি আমি আদালতে যুক্তি উপস্থাপনে উল্লেখ করেছি। গতকাল বিবাদী পক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৯শে জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের জুলাইয়ে রোজার ঈদের আগে স্টার জলসায় প্রদর্শিত ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালে পাখি চরিত্রের পোশাক কিনতে না পেরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। পরে জনস্বার্থে ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে ২০১৪ সালের ৭ই আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলি হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দাখিল করেন।

রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে একই বছরের ১৯শে অক্টোবর ভারতীয় এই তিনটি টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। রুলে তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের জবাব দিতে বলা হয়। হাইকোর্টের জারি করা ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি এখন চলছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: