দেড় কোটি কৃষকের সেবা দিচ্ছে এসিআই

প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারি ২০১৭, ০৪:৩৫ এএম

ঢাকা: কৃষি ব্যবসা ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে ২০১৬ সালে দেশের প্রায় দেড় কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে গেছে এসিআই লিমিটেড। কোম্পানির এগ্রিবিজনেস শাখার ক্রপ কেয়ার, এনিমেল হেলথ, ফার্টিলাইজার, ক্রপেক্স, সীডস, কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে চলতি বছরে প্রায় ২ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছাতে চায়। গত বছরে কোম্পানির বার্ষিক আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ শতাংশ।

শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ‘বাত্সরিক সম্মেলন ২০১৭‘’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন এসিআই লিমিটেডের (এগ্রিবিজনেস) নির্বাহী পরিচালক ড. ফা হ আনসারী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থপনা পরিচালক ডঃ আরিফ দৌলা।

তিনি বলেন, দেশে এখন দুধ ও মাংসের ঘাটতি রয়েছে। অন্যদিকে মাটির উর্বরা শক্তি কমে গিয়ে ফসলের উত্পাদনশীলতা কমে আসছে। এ অবস্থায় কৃষি ও কৃষকের জীবন পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্পদশালী করতে করনীয় সকল বিষয়গুলোকে বাস্তবায়ন করা হবে। এর জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তর থেকে শুরু করে উন্নত বীজ, সার এবং উপকরন সহায়তা দ্রুত কৃষকের কাছে পৌঁছাতে কাজ করতে হবে। সরকারি সহায়তা ও নীতি-নির্দেশনা অনুসারে ব্যবসায়িক পরিকল্পপনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

ড. ফা হ আনসারী বলেন, এদেশের অর্ধেক লোক কৃষিতে কাজ করে আর ৭০ ভাগ জমি কৃষিতে ব্যবহার হয়। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও মানুষের অর্থনৈকি উন্নয়নে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এসিআই এগ্রিবিজনেস বাংলাদেশের এনিমেল হেলথ ২ লক্ষ ৪০ হাজার খামারের মধ্যে ১ লক্ষ ৯৪ হাজার প্রায় ৮১ শতাংশ কৃষকের কাছে পৌঁছে গেছে। এছাড়া এসিআই মটরসের কৃষি প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ১ কোটি ৭০ লাখ কৃষকের মধ্যে ৫০ লাখ কৃষকের কাছে, সারের মাধ্যমে ৩২ লাখ, বীজের মাধ্যমে ৪০ লাখ কৃষকের কাছে পৌঁছে গেছে। অন্যান্য চলমান শাখা ছাড়াও নতুন ব্যবসায়িক শাখার মাধ্যমে চলতি বছরে ২ কোটি কৃষকের সেবা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কোম্পানিটি।

“ট্রান্সফারমারস” শিরোনামে উদ্বুদ্ধ হয়ে সম্মেলনে মাঠ পর্যায়ের দেড় শতাধিক কর্মকর্তা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মটরসের চীফ বিজনেস অফিসার সুব্রত রঞ্জন দাস, প্রিমিয়াফ্লেক্সের বিসনেস ডিরেক্টর আনিসুর রহমান, এ সি আই এগ্রোলিঙ্কের চীফ ষ্ট্রাটেজিক অফিসার এম সাইফুল্লাহ।

নতুন প্রযুক্তির বিষয়ে অ্যানিম্যাল হেলথের বিজনেস ডিরেক্টর শাহেনশাহ্ বলেন, বার্ড ফ্লু সংযোজিত রোবটিক ও হেকটারসি ভ্যাকসিন নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া চিংড়ি ও পোলট্রির রোগ সনাক্তে ডাইগনোসিস ল্যাব এবং এনিম্যাল হসপিটাল তৈরি করা হচ্ছে।

সীডের হেড অফ বিজনেস সুধির চন্দ্র নাথ বলেন, টিস্যু কালচারের মাধ্যমে আধুনিক বীজ উদ্ভাবন করা হচ্ছে। পটেটো ভেরাইটি ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত উত্পাদন বাড়ায়। এছাড়া হাইব্রিডিটি টেস্ট, সীড হেলথ টেস্ট যা কিনা সিডের গুনগত মানের নিশ্চয়তা দিতে সক্ষম।

ফার্টিলাইজারের বিজনেস ডিরেক্টর বশির আহমেদ বলেন, ফার্টিলাইজার এ ট্রিককো কমপোস্ট, সালফার ইনরিচড জিপসাম, পটাশ বাজারজাত করা হচ্ছে। চলতি বছরে নাইট্রোজেন সাশ্রয়ী পটাশ সার বাজারজাত করা হবে। বায়ো ফার্টিলাইজার, রেডি মিক্স সয়েল ও ন্যানো ফার্টিলাইজার বিপনন করা হবে।

গত বছরে মোট আয়ে ২৬ শতাংশ ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বিভাগ ভিত্তিক অর্জনের মধ্যে মোটরসে ৫৪, এনিমেল হেলথ ২৩, এসিআই ফর্টিলাইজার ২৩, এসিআই সীড ২৯ এবং পিপিএল ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে আইসিআই লিমিটেড স্থানীয় ব্যবস্থাপনার কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে এ্যাডভানসড কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ (এসিআই) লিমিটেড নামকরন নিয়ে যাত্রা শুরু হয়। তত্কালিন আইসিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আনিস-উদ-দৌলা কোম্পানিটির মালিকানা ক্রয় করেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: