ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় উপচে পড়া ভিড়

প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারি ২০১৭, ০৪:৩৫ এএম

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে দর্শনার্থীর সংখ্যা কম থাকলেও ছুটির দিনগুলোতে রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। শুক্র ও শনিবার সকাল থেকেই থাকে দর্শনার্থীদের সরব উপস্থিতি। চাকরিজীবীদের কাছে এ দুদিনই পরিবারকে নিয়ে বানিজ্য মেলায় আসার একমাত্র সুযোগ। এছাড়া মেলা শুরুর দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে দর্শক সমাগম।

টিকেট বিক্রেতারা জানান, এ বছর বাণিজ্য মেলায় গতকাল (১৩ জানুয়ারি) সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। তারা আশা করেন শুক্রবারের মত না হলেও ছুঠির দিন হওয়ায় আজ ও (১৪ জানুয়ারি) পর্যাপ্ত টিকিট বিক্রি হবে। টিকেট বিক্রেতারা জানান, মেলার শেষের দিনগুলোতে টিকিট বিক্রি সবচেয়ে বেশি হয়। যার মধ্যে শেষের ছুটির দিনগুলোতে টিকিট বিক্রি থাকে সর্বোচ্চ।

দর্শক সমাগম বাড়ায় স্টল মালিক-কর্মচারীরা পার করছেন ব্যস্ত সময়। গতকাল থেকে দম ফেলানোর সময় পাচ্ছেন না তারা। তবে বিক্রি বেশি হওয়ায় আছে মানসিক স্বস্তি। ব্যবসায়িরা জানান, এখন পর্যন্ত গতকালই তাদের সর্বোচ্চ বিক্রি হয়েছে। আজকেও আশানরুপ বিক্রি হবে বলে মনে করেন তারা।

এবারের মেলায় বিক্রির শীর্ষে আছে প্লাস্টিক পণ্য। বাংলাদেশি কয়েকটি প্লাস্টিক কোম্পানি নগদ মূল্য ছাড় দেয়ায় এসব প্যাভিলিয়নে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এছাড়া ঘর সাজানোর জিনিসপত্র, রান্নার সরঞ্জাম ও গার্মেন্টস পণ্যের স্টলগুলোতে দর্শক সমাগম সর্বাধিক। খাবার হোটেলগুলোতেও রয়েছে চোখে পড়ার মতো ভিড়। তবে বিদেশী প্যাভিলিয়নগুলোর দিকেই দর্শনার্থীদের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রাইড যোগ হওয়ায় শিশুকেন্দ্রগুলোতেও রয়েছে যথেষ্ট ভিড়।

অন্যদিকে বাণিজ্য মেলায় ভিড় বাড়ার ফলে মেলার আশেপাশের এলাকাগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। ফলে মিরপুরগামী যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তির মধ্যে। এছাড়া মেলা থেকে ফেরার পথে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে দর্শনার্থীরাও। এর কারণ হিসেবে মেলার গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থাপনাকে দ্বায়ী করছেন অনেকে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) আয়োজনে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৭। ২২তম এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

এবারের মেলায় পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রিতে অংশ নিচ্ছে ২০টি দেশ। দেশী-বিদেশী সব মিলিয়ে ১৩টি ক্যাটাগরিতে ৫৬৮টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিদেশী স্টল রয়েছে ৫৪টি।
মেলায় পোশাক, জুয়েলারি, গৃহস্থালি সামগ্রী, প্রসাধনি, খেলনা, খাদ্যসামগ্রী, কারুশিল্পসহ বিভিন্ন ধরণের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করা হবে। মেলায় বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ও স্টলের ক্যাটাগরিতে রয়েছে—সাধারণ প্যাভিলিয়ন, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, বিদেশী প্যাভিলিয়ন, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, বিদেশী মিনি প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ, প্রিমিয়ার স্টল, বিদেশী প্রিমিয়ার স্টল, সাধারণ স্টল ও ফুড স্টল।

এছাড়া নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে রাখা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। রয়েছে দুটি মা ও শিশুকেন্দ্র।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: