ইসি নিয়ে সরগরম রাজনীতির মাঠ

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৬:১৮ পিএম

ঢাকা: আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের মধ্যে নিয়োমিত চলছে পাল্টাপাল্টি বাহাস। তাই রাজনীতির মাঠ এখন সরগরম। আর এর কারণ হলো নতুন নির্বাচন কমিশন!

বিএনপির নেতারা বলেছেন, সার্চ কমিটির নামে জাতির সঙ্গে রসিকতা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ করা উচিত। এই নির্বাচন কমিশনারের ওপর তাদের আস্থা নেই।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা ইসি গঠন নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। তারা বলচে, বিএনপির মানা না মানায় কিচ্ছু যায় আসে না। যারা আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের কাছ থেকে শিখতে হবে না কীভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হয়। এই কমিশনের অধীনেই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থতার কারণে হতাশ বিএনপি বর্তমানে বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। আর বেপরোয়া চালক যেমন দুর্ঘটনার কারণ তেমনি বিএনপিও দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসতে পারে। বিএনপি নেতারা কখন যে কী বলে তারা নিজেরা ছাড়া কেউ জানে না।

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, বিএনপির সময় আমরা আজিজ সাহেব নামে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার দেখেছি। তিনি মাগুরা ও মিরপুরের নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন। ওই সময় নির্বাচনের বাবার নাম ভুলিয়ে দিয়েছিলেন। এখন নির্বাচন কমিশন কীভাবে গঠন করতে হয় বিএনপির কাছ থেকে শিখতে হবে না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশন এখনও কাজই শুরু করেননি। কাজ শুরু করার আগে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যুক্তিসংগত নয়। বিএনপি ভুল রাজনীতির কারণে হতাশাগ্রস্থ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নতুন গঠিত নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করার নামে জাতির সঙ্গে রসিকতা করা হয়েছে। কেননা সার্চ কমিটি যাদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছেন তারা কেউ প্রধান নির্বাচন কমিশন হননি। শুধু তাই নয়, সকলে মিলে যার নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল তিনিও হননি। তাহলে সার্চ কমিটির নামে কেন এই রসিকতা?

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনার মূল প্রতিষ্ঠান। আর এই প্রতিষ্ঠান যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ না করে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আর সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন হবে না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের সমালোচনায় বলেন, এবার যিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন সেই খান মোহাম্মদ নূরুল হুদা কমিটেড আওয়ামী লীগার। সে আওয়ামী লীগ দলীয় চেতনায় কাজী রকিবউদ্দিনের চেয়েও আরো কয়েক ধাপ অগ্রবর্তী। তার অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে দেশের মানুষের মধ্যে আস্থার সৃষ্টি হয়নি।

সার্চ কমিটির সুপারিশের পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ৬ ফেব্রুয়ারি কে এম নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। অন্যান্য কমিশনাররা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: