শিশুর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক কতটা ক্ষতিকর!

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০১৭, ১১:১২ এএম

শিশুর সব ধরণের অসুখের জন্যই অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন নেই। তাই প্রয়োজন ছাড়াও যদি অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয় তাহলে তা ক্ষতিকর হতে পারে। যেখানে প্রয়োজন আছে শুধুমাত্র সেখানেই অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে। অনেকসময় এক দিনের বাচ্চাকেও অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হয়। জীবন বাচানোর জন্য শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রায় দিতে হবে। সেই ক্ষেত্রে তেমন কোন ঝুঁকি নেই। বরং যদি সঠিকমাত্রায় সঠিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া না হয়, সেই ক্ষেত্রে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যেতে পারে।

শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক প্রইয়োগের ব্যাপারটি খুবই স্পর্শকাতর। শিশুদের বয়স এবং ওজন অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে। শিশু কি ধরনের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে, সেই এলাকায় এই মুহূর্তে কোন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ভালো কাজ করে সেটা বুঝে দিতে হবে।

একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে কোন শিশুর চিকিৎসা করলে সেটি মাত্র সাময়িক সময়ের জন্য কার্যকরী হয়। তবে এই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার যদি পরিমানে বেশী হয়ে থাকে, তাহলে উপকারের দিক থেকে ক্ষতির দিকই বেশি।

গবেষণায় মেডিসিন জার্নাল পরিবার একটি রিপোর্ট প্রাকাশিত করেন, সেখানে উল্লেখ্য যে চর্মরোগে ইউকে তে সাধারন অবস্থা, বিশেষত শিশু প্রতি ৫ জন শিশুদের মধ্যে প্রায় ১জন শিশু অ্যান্টিবায়োটিক দ্বারা প্রভাবিত হয়।

অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে কারও কখনও কখনও খারাপ অনুভূতি পায় এবং ত্বকে বিশেষ ব্যাকটেরিয়া ঘটাচ্ছে তার অবদান রাখতে পারে। গবেষণায় পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সাময়িক অ্যান্টিবায়োটিক, ক্রিম বা মলম কোন কোন শিশুর ত্বকে তীব্রতার প্রয়োগ করে। তাই সকল শিশুকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি অ্যান্টিবায়োটিক, ক্রিম বা মলম ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

অগুরুতরভাবে আক্রান্ত ১১৩ শিশুর কাছ থেকে তথ্য বিশ্লেষন করে যে ফলাফল পাওয়া যায়, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত শিশুরা প্রতি দুই সপ্তাহ, চার সপ্তাহ বা তিন মাসের মধ্যে তাদের ত্বকের কোন না কোনও উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখিয়েছেন। সূত্রঃ জিনিউজ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: