ক্যান্সারের পার্শ্বপপ্রতিক্রিয়া থেকে মিলবে মুক্তি
ক্যান্সার একটি অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি। এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কারণ হচ্ছে প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পরে না, ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ভালো কোনও চিকিৎসা দেয়াও সম্ভব হয় না। বাস্তবিক অর্থে এখনও পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর কোনও ওষুধ আবিষ্কৃত হয় নি।
ক্যান্সার সারানোর জন্য বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে এই রোগ সারানোর সম্ভাবনা অনেকাংশ বেড়ে যায়।
বিশ্বের সমস্ত প্রাণীর শরীর অসংখ্য ছোট ছোট কোষের মাধ্যমে তৈরি। এই কোষগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর মারা যায়। এই পুরনো কোষগুলোর জায়গায় নতুন কোষ এসে জায়গা করে নেয়। সাধারনভাবে কোষগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে এবং নিয়ম মতো বিভাজিত হয়ে নতুন কোষের জন্ম দেয়।
সাধারনভাবে বলতে গেলে যখন এই কোষগুলো কোনও কারণে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে তখনই ত্বকের নিচে মাংসের দলা অথবা চাকা দেখা যায়। একেই টিউমার বলে। এই টিউমার বিনাইন বা ম্যালিগন্যান্ট হতে পারে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকেই ক্যান্সার বলে।
একটি নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে হাটা বা জগিং এর মত ব্যায়াম কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করে। তারা আরও বলেছেন, একটি কেমোথেরাপি পরিপূর্ণ করতে ব্যায়াম, মাংসপেশী, এবং টিউমার সংক্রান্ত ক্লান্তি সিন্ড্রোম এর উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ইতিমধ্যে অনেকেই বলেছেন থেরাপি রোগীদের জন্য ভাল এবং কম রোগ পুনরাবৃত্তি করে। থেরাপি মানুষের মানসিক এবং শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। রোগীদের এই অসুস্থতার প্রাথমিক পর্যায় পরীক্ষা করে টিউমারের মধ্যে কোন পার্থক্য করেনি।
গ্যাটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং জার্মানের মার্কুস হাঁসপাতালে আধ্যায়নরত এগাপিলসন একটি গবেষণায় দেখেন যে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল টিউমার রোগীদের জন্য ব্যায়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
দেখা গেছে, ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী মানুষ যারা প্রতিদিন গড়ে এক ঘণ্টা মাঝারি ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করার পাশাপাশি রাতে সাত ঘণ্টা ঘুমিয়েছেন তাঁদের ক্যান্সার, যারা একই ধরনের পরিশ্রম করেছেন কিন্তু ততক্ষন ঘুমোননি তাঁদের তুলনায় শতকরা ৪৭ ভাগ কম হয়েছে। এতে বোঝা যায় যে তরুন ও মধ্যবয়সীদের মধ্যে শারীরিক পরিশ্রম আর যথেষ্ট ঘুম দুটোই গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষেত্রে।
তবুও পরিমিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্যগ্রহণ এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রনের মতো ইতিবাচক বিষয়গুলোকে যদি পর্যাপ্ত সময় ধরে ঘুমের সাথে মেলানো যায় তাহলে হয়ত ক্যান্সার নামক দৈত্যের হাত থেকে মুক্তি মিললেও মিলতে পারে। সূত্র: জি নিউজ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: