স্কুলে চিতাবাঘের পায়ের ছাপ, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০১৭, ০২:১৪ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একে পরীক্ষার চাপ৷ তার উপর চিতাবাঘের আতঙ্ক৷ দুই ‘আতঙ্কে’র মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিলো ভারতের আলিপুরদুয়ারের ম্যাকউইলিয়াম হাইস্কুলের ছাত্ররা। তবে তারা যাতে নিশ্চিন্তে পরীক্ষা দিতে পারে, চেষ্টার কোনো ত্রুটি করেনি প্রশাসন। পরীক্ষা চলাকালীন স্কুল চত্বরে বনকর্মী মোতায়েন, ট্র্যাপ ক্যামেরা ও খাঁচা পাতা হয়েছিল। উপস্থিত ছিল পুলিশও।

এত কিছুর পর মনের আতঙ্ক যে পুরোপুরি কেটেছে তা হলফ করে বলতে পারেননি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘আমরা একটু চিন্তায় আছি। আমাদের মনে হচ্ছে এটা লেপার্ডের পায়ের ছাপ। এখন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। সেই লক্ষ্যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসন ও বনদফতরের তরফে। আমরাও সজাগ আছি।

এছাড়া পরিচালন সমিতির বৈঠকে নিরাপত্তার বিষয়ে শিগগরি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ শনিবার উচ্চমাধ্যমিকের কম্পিউটার পরীক্ষা ছিল৷ সূচি মেনে পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হয় পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষাও শুরু হয়। আচমকা স্কুলের এক শিক্ষকের নজরে আসে পরীক্ষা কেন্দ্রের উঠানে বেশকিছু অচেনা পায়ের ছাপ। খবর পেয়ে অন্য শিক্ষকরাও চলে আসেন ঘটনাস্থলে। ভালো করে দেখার পর লেপার্ডের পায়ের ছাপ বলে সন্দেহ হয় তাদের। এরপরই আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয় পরীক্ষা কেন্দ্রে।

খবর যায় পুলিশ ও বনদফতরে। দ্রুত স্কুলে চলে আসেন তারা। বনদফতরের কর্মকর্তারা পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন এটা চিতা বাঘের পায়ের ছাপ। ছাত্র-শিক্ষকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পরীক্ষাকেন্দ্রে বাঘ ধরার জন্য খাঁচা বসানোর পাশাপাশি ট্র্যাপ ক্যামেরাও বসানো হয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি স্কুলে লেপার্ডের পায়ের ছাপ মিলেছে। সকল বিষয় খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে বনকর্মীরা হাজির ছিলেন।

তবে আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া এলাকায় লেপার্ড এসে থাকলে খুবই চিন্তার বিষয়। দুই বছর আগে আলিপুরদুয়ার কলেজ লাগোয়া একটি শিশু উদ্যান থেকে বনদফতরের খাঁচায় বন্দি করা হয়েছিল পূর্ণ বয়স্ক একটি চিতাবাঘ। ফলে শহরের বুকে ফের চিতার উপস্থিতির প্রমাণ মেলায় আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারাও। বনদফতরের অনুমান, পথ ভুল করে চিতাবাঘটি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে শহরে ঢুকে থাকতে পারে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: