প্রেমের ফাঁদ, প্রেমিকের ভয়ঙ্কর রূপ

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০১৭, ০৯:৪৩ এএম

বিয়ের দাবিতে প্রেমিক ইকবালের বাসায় এসে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন প্রেমিকা সামিয়া বেগম। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এসে পুলিশে খবর দিয়ে সামিয়াকে উদ্ধার করে। আটক করা হয় নির্যাতনকারী ইকবালকেও। গতকাল বিকেলে সিলেট নগরীর ঝেরঝেরিপাড়ার ৫৪ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। সামিয়ার বাড়ি গোয়াইনঘাটে। আর ইকবাল ঝেরঝেরিপাড়ার ওই বাসার ভাড়াটে। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায়। স্থানীয়রা জানান, বিকেল ৩টার দিকে হঠাৎ তারা দেখেন ইকবাল তার প্রেমিকা সামিয়াকে নির্যাতন করতে করতে বাসার বাইরে নিয়ে আসে। এ সময় সামিয়া চিৎকার করছিল। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে যান। তারা ইকবাল আর সামিয়াকে আটক করেন। পরে খবর দেন স্থানীয় কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জলকে। এ সময় সামিয়া জানায়, ইকবালের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। ইকবাল তাকে বিয়ে করবে এমন আশ্বাস দিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখন বিয়ে করছে না। কয়েক দিন আগে সে বিয়ের দাবি নিয়ে ইকবালের বাসায় এসেছিল। ওই দিনও ইকবাল তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। সামিয়া জানায়, গতকাল দুপুরের দিকে সে ইকবালের বাসায় আসে। এ সময় ইকবাল তাকে আটক করে বেধড়ক মারধর করে।

প্রায় তিন ঘণ্টা ঘরের মধ্যে বন্দি রেখে তার ওপর নির্যাতন চালায়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নও দেখায়। কাউন্সিলর উজ্জল জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন মেয়েটির অবস্থা গুরুতর। এ কারণে তিনি তাৎক্ষণিক কোতোয়ালি পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, মেয়েটির উপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। এ কারণে সে ভালো ভাবে কথাও বলতে পারছিল না। ইকবাল জানায়, সে বিবাহিত। তার সন্তানও রয়েছে। কিন্তু সামিয়া তাকে বিয়ে করার জন্য বাসায় পর্যন্ত চলে এসেছে। সামিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিলেটের কোতোয়ালি থানার সাব ইন্সপেক্টর কমরউদ্দিন মানবজমিনকে জানিয়েছেন, মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে এসেছেন। তারা এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ দায়ের করবেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে- যেহেতু মেয়েটি নির্যাতিত হয়েছে এ কারণে পরিবারকে অনুরোধ করা হয়েছে অভিযোগ দেয়ার জন্য। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ইকবাল আটক রয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইকবাল বেশ কয়েক বছর ধরে ঝরনার পাড় এলাকায় বসবাস করছে। এর আগেও নারী ঘটিত ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল সে। ওই সময় তিন মেয়েসহ সে গ্রেপ্তার হয়। পরে এলাকার মালেক নামের এক ব্যক্তি তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। কাউন্সিলর উজ্জল জানান, ইকবালকে নিয়ে এলাকার মানুষের সন্দেহ দানা বেঁধেছে। কারণ, সে যেভাবে মেয়েটিকে নির্যাতন করেছে সেটি অবর্ণনীয়। ভালো পরিবারের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা লুট করছে বলে ইতিমধ্যে এলাকায় খবর রটেছে। #মানবজমিন

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: