নাটোরে নৈশকোচে ডাকাতি, ৩ যুবক আটক

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০১৭, ১১:০৪ পিএম

রাতে নৈশকোচে ডাকাতি নিয়ে নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম থানার দিনভর নাটক শেষে অবশেষে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ সন্দেহভাজন তিন যুবককে আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মানিকপুর কলাবাগান এলাকায় বাসে গণডাকাতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

২১ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার রয়নাভরট গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এর আগে সোমবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে ৪/৫টি নৈশকোচে ডাকাতি করে পালিয়ে যায় একদল ডাকাত। এই ঘটনায় বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর থানা পুলিশ কেউ ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করেনি।

তারা ডাকাতি সংগঠিত হওয়ার স্থান নিয়ে দিনভর টানা-টানি শুরু করেন। গুরুদাসপুর থানা বলেন, বড়াইগ্রামে হয়েছে আবার বড়াইগ্রাম থানা বলেন, গুরুদাসপুরে হয়েছে। এনিয়ে সারাদিনই গুঞ্জন ছিল এই দুই থানা এলাকায়। পরে দুই থানা পুলিশ অভিযানে নামে। ইতিমধ্যে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ তিনজন সন্দেহ ভাজনকে আটক করেছেন।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের রয়নাভরাট গ্রামের আজগর আলীর ছেলে গোলাম হোসেন (৩৫), মকবেল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৭) ও খাসখামার গ্রামের আকাইলার ছেলে মবেদুল ইসলাম (৩৫)।

বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পার্থ বিশ্বাস জানান, সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টার দিকে একদল ডাকাত বড়াইগ্রাম উপজেলার মানিকপুর কলাবাগান এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে একটি বিকল ট্রাক দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে ডাকাতির চেষ্টা করে।

এসময় টহলপুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে রাত ২টার দিকে পূনরায় ডাকাত দল গুরুদাসপুরের নয়াবাজার এবং বড়াইগ্রামের আইড়মারি ব্রীজ এলাকার মাঝামাঝি এলাকায় সড়কে কাটা ফেলে দেয়। এতে ঝিনাইদহ থেকে ঢাকাগামি হানিফ এন্টারপ্রাইজের এক নৈশকোচের চাকা ফুটো হয়ে যায়।

এসময় নৈশ কোচটি চাকা মেরামতের জন্য দাঁড়ালে ডাকাতরা বিলের মধ্যে থেকে ওঠে এসে ডাকাতি করে যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইলসহ দামি জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু ডাকাতির বিষয়টি কোচ চালক বা মালিক পক্ষ থেকে দুপুর পর্যন্ত পুলিশকে অবহিত করা হয়নি।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এবং স্থানীদের দেওয়া তথ্য মতে পুলিশ ঘটনা উদঘাটনে মাঠে নেমে ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে বিকেলে অভিযান চালিয়ে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজন সন্দেহ ভাজন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

তিনি আরো জানান, ৫ জনকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অপর দুইজনকে আটকের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস জানান, ঘটনা যেহেতু দুই থানার সীমান্ত এলাকায় ঘটেছে। কোন থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেননি। তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় এবং আইন শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নতির স্বার্থে গুরুদাসপুর থানার পক্ষ থেকে ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ মাঠে রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: