চলনবিলাঞ্চলে মৌসুমী বৃষ্টিতে ক্ষতিরমুখে ইটভাটা
চৈত্রের প্রথম সপ্তাহে দুই তিন দিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির পর সোমবার রাতে অপেক্ষাকৃত ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ে চলনবিলাঞ্চলের প্রায় ৪০টি ইট ভাটার কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ভাটা মালিকদের প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে জানা গেছে। ভাটায় কাজ না থাকায় শ্রমিকেরাও বেকার হয়ে পড়েছেন।
চলনবিল এলাকার চাটমোহরে ৫ টি, ভাঙ্গুড়ায় ৬ টি, ফরিদপুরে ৫ টি, গুরুদাসপুরে ১২টিসহ সিংড়া, তাড়াশ, বড়াইগ্রাম, উল্লাপাড়া ও এর আশপাশের এলাকায় প্রায় ৫০টি ইটের ভাটা রয়েছে। গত কয়েক দিন যাবত এসব এলাকায় আকস্মিক ভাবে ঝড়ো বৃষ্টি ও গুড়ি বৃষ্টি হয়। সোমবার রাতে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টিপাত ও ঝড় হলে এ ইটের ভাটা গুলোর অধিকাংশ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে চাটমোহরের হরিপুর ইউনিয়নের ধুলাউড়ি গ্রামে অবস্থিত ডি.এস.এ ইটের ভাটার স্বত্তাধিকারী মোস্তফা কামাল দুলাল জানান, সোমবারের বৃষ্টিতে তার ভাটায় প্রায় সাড়ে ৫ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে যার মূল্য প্রায় ৩৮ লাখ টাকা। নষ্ট হয়ে যাওয়া এ ইট অপসারণ করতে আরো প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হবে। এছাড়া শুকনো ইট ঢেকে রাখা পলিথিন ঝড়ে উড়ে যাওয়ায় সে ইট গুলোও নষ্ট হয়ে গেছে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার শাহনগর এলাকায় অবস্থিত যৌথ মালিকানাধীন একতা ব্রিকস ফিল্ডের কল্লোল গোস্বামী জানান, তাদের ভাটায় প্রায় ৫ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। তিনি আরো জানান এ বৃষ্টিতে তাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। ফিল্ড থেকে নষ্ট হয়ে যাওয়া ইট অপসারণ করতেও বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হবে তাদের।
এ বৃষ্টির কারনে ইতিমধ্যেই ইটের দাম হাজার প্রতি বেড়েছে প্রায় ৬শ টাকা। কয়েকদিন পূর্বে প্রতি হাজার ইট ৭ হাজার ৪শ টাকায় বিক্রি হলে এখন প্রতি হাজার ইট বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকায়। নির্মাণ শিল্পে এর প্রভাব পরবে বলে জানান অনেকে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: